গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবটি একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। এটি ১৯৫৯ সালে শহরের প্রাণকেন্দ্র কাচারি বাজারে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সেই থেকে প্রবীণ ও নবীন সাংবাদিকরা ভবনটিকে কেন্দ্র করে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে কমিটির মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে শেষ হয়।
গত ২৫ মে পূর্ব মনোনীত নির্বাচন কমিশনারদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য সাধারণ সভা নির্ধারিত ছিল। সভার শুরুতেই অনার বোর্ড ও সাধারণ সদস্যদের তালিকার বোর্ড সুকৌশলে সরিয়ে ফেলে একটি চক্র। সাংবাদিক নামধারী কতিপয় সন্ত্রাসী জোড় করে সভা কক্ষে ঢুকে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে বৈধ সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ পরিস্থিতিতে সাবেক সভাপতি কেএম রেজাউল হক সভার মুলতবি ঘোষণা করেন। এরপর বহিরাগত সন্ত্রাসীরা বিকালে প্রেস ক্লাব ভবনের দরজা ও মেইন গেটের তালা ভেঙে অনুপ্রবেশ করে তালা লাগিয়ে দেয়। এ পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের মধ্যে হতাশা, চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করে। বিষয়টি সভাপতি কেএম রেজাউল হক ও যুগ্ম সম্পাদক ইদ্রিসউজ্জামান মোনা জেলা প্রশাসক গাইবান্ধা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। পরবর্তীতে গাইবান্ধার চারটি প্রেস ক্লাবের সদস্যরা একত্রিত হয়ে ২৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি নতুন কমিটি ঘোষণা করে প্রেস ক্লাবটি দখলমুক্ত করেন। দখলমুক্ত হওয়ার এক সপ্তাহ পর সাবেক সভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন কর্তৃক গাইবান্ধা প্রেস ক্লাব ভবন সিলগালা করা হয়। বিষয়টি অমীমাংসিত থাকায় সাংবাদিকদের মধ্যে উত্তেজনা কাজ করছে।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মাহমুদ আল হাসান জানান, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী অমীমাংসিত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে অতি দ্রম্নততম সময়ের মধ্যে প্রেস ক্লাবটি খুলে দেওয়া হবে। যাতে সাংবাদিকরা অফিসে বসে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারেন।