দক্ষিণ চট্টগ্রামের বৃহত্তম পশুর হাট কর্ণফুলীর মইজ্জ্যারটেক

প্রকাশ | ১৩ জুন ২০২৪, ০০:০০

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ পশুর হাট কর্ণফুলীর মইজ্জ্যারটেক সিডিএ আবাসিক মাঠে। বিগত দশ বছর ধরে চলছে এখানে কোরবানির পশু বেচাকেনা। চট্টগ্রাম নগরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু নিয়ে আসে বিক্রেতারা আর কোরবানি দাতারা স্ব-পরিবারে কিংবা স্বজনদের নিয়ে চলে আসে গরু কিনতে। কুরবানির ঈদের চাঁদ ওঠার পরদিন থেকেই এখানে আনুষ্ঠানিক বিক্রি শুরু হয়েছে, চলবে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত। হাটঘিরে প্রতি বছরের ন্যায় নানা আলোক-সজ্জা, পোস্টার, ব্যানার ও প্রচারণায় চলছে দিনরাত মাইকিং। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ও দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া এসেছে এ হাটে। জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সঙ্গে লাগোয়া ও যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা থাকায় এ হাটের প্রতি মানুষের একটি আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। বিগত দশ বছর ধরে কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক সিডিএ আবাসিক মাঠে পবিত্র কোরবানি উপলক্ষে চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ পশুর হাট বসে এখানে। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে কোরবানি ঈদের পনের দিন আগে থেকে এখানে ক্রেতা বিক্রেতাদের যেন মিলন মেলায় পরিণত হয়। এ হাটে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ছাড়া উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্রেতারা ৮/১০ হাজার গরু-মহিষ নিয়ে আসেন বলে জানা যায়। এ বছর এখানে বিক্রয়কৃত পশুর উপর সরকারিভাবে ৫% হারে হাসিল নির্ধারণ করা হলেও কর্তৃপক্ষ বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করেছে। ইজারাদার সূত্রে জানা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় বাজারে অস্থায়ী পুলিশ বক্স স্থাপন। বাজারের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামরা দ্বারা মনিটরিং করা হয়। রাতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে নিরবচ্ছিন্ন বিদু্যৎ ও জেনারেটর সুবিধায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। নামাজের জন্য অস্থায়ী এবাদতখানা ও অজু, গোসল এবং খাওয়ার জন্য বিশুদ্ধ পানির সুব্যবস্থা। বৃষ্টির পানি নিয়ন্ত্রণে পুরো বাজার জুড়ে ত্রিপল দ্বারা চালা স্থাপন ছাড়াও বাজারে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী হোটেল ও টি-স্টল। পাশাপাশি বাজারে জাল নোট শনাক্তকরণে রয়েছে অত্যাধুনিক মেশিন। এছাড়াও বাজারে পশু খাদ্যের সহজলভ্যের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে, কুড়া, ভুসি, খৈল, শুষ্ক ও কাঁচা ঘাসসহ বিভিন্ন খাদ্যের পাইকারি ও খুচরা সুবিধায় ক্রয়ের পৃথক স্টল। এ হাটে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা দামের গরু-মহিষ পাওয়া যাচ্ছে। হাটের ইজারাদার মো. ইমতিয়াজ জানান, কর্ণফুলী মইজ্জ্যারটেক সিডিএ আবাসিকের কোরবানির পুশুর হাট দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের জন্য অত্যন্ত সুন্দর যোগাযোগ সুবিধা রয়েছে। এখানে চট্টগ্রাম ছাড়াও উত্তর বঙ্গের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, ঈশ্বরদী, যশোর, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, শেরপুর, কুমিলস্না, ফেনী ও নোয়াখালীসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এখানে ক্রেতারা গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া বিক্রির জন্য আনেন। কোরবানির ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত এখানে পশু বেচাকেনা চলবে। আমরা পশু বেপারীদের জন্য বাজার কমিটির পক্ষ থেকে খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করেছি। সরকার নির্ধারিত হাসিল কম রেট। বাজারে বর্তমানে ৮ থেকে ১০ হাজার গরু রয়েছে। ক্রেতার সংখ্যাও বেশি।