সর্তা খালের ভাঙন রোধে বাঁক কাটার কাজে চেয়ারম্যান
প্রকাশ | ১৩ জুন ২০২৪, ০০:০০
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রতিবছর বর্ষায় পাহাড়ি অঞ্চল থেকে প্রবল স্রোতে পানি নামে রাউজানের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সর্তা খাল হয়ে। এই খালটি উৎপত্তি পার্বত্য জেলার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল থেকে। এটি আকাঁবাঁকা হয়ে বয়ে এসেছে রাঙামাটির পার্বত্যউপজেলার কাউখালী, পার্শ্ববর্তী ফটিকছড়ি, রাউজান উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ওপর দিয়ে। মিশেছে হালদা নদীর সঙ্গে।
প্রতিবছর বর্ষাকালে সর্তার প্রবল স্রোতে খালের দু'পাড় ভাঙে পানির চাপে। দু'পাড়ে উপচেপড়া পানিতে সৃষ্টি হয় বন্যা। স্রোতের তীব্রতায় বিলীন হয় ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। প্রতিবছর বাড়ি ভিটা হারিয়ে অনেক মানুষ হয় যাযাবর। বর্ষায় প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষায় রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সর্তার কিছু এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করিয়েছেন। যেসব এলাকায় বাঁক হয়ে খালের ভাঙন সৃষ্টি করছে, সেসব এলাকায় বাঁক কেটে খালের প্রবাহ জেগে ওঠা চরের দিকে ফিরিয়ে দিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দিয়েছেন। এখনো রয়ে গেছে রাউজানের কয়েক কিলোমিটার এলাকা অরক্ষিত।
ভাঙনকবলিত এলাকার চিকদাইর ও নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যান প্রিয়তোষ চৌধুরী ও সরোয়ার্দ্দি সিকদার বলেছেন, রাউজানের সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী ভাঙনকবলিত মানুষকে রক্ষায় খালের বাঁক কেটে জেগে ওঠা চরের দিকে খালের পানি প্রবাহ ঘুরিয়ে দিতে বলেছেন।
সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ভাঙনকবলিত গ্রাম রক্ষায় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরোয়ার্দ্দি সিকদার গ্রামবাসীকে নিয়ে বাঁক কেটে গ্রামবাসীকে রক্ষায় মাটি কাটছেন। অন্যদের সঙ্গে তিনি মাটি ভর্তি টুকড়ি নিয়ে কাজে নেমেছেন।
এ সময় তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন, 'পদ পদবি নয়, আমরা সবাই মানুষ। আমরা একে অপরের সুখ দুঃখে সাথী হতে পারি না বলে বিপদগ্রস্ত, অভাবগ্রস্ত থাকি। সব সময় সরকারের দিকে চেয়ে থাকি। সংকটকালে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নামলে যে কোনো কঠিন কাজ সমাধান করা যায়।'
উলেস্নখ্য, রাউজান উপজেলার সবচেয়ে সুন্দর ও সমৃদ্ধ ইউনিয়ন নোয়াজিশপুর। চেয়ারম্যানের রুচিবোধ ও নিরলস কাজের জন্য এই ইউনিয়নটি এখন মডেল। সবার কাছে প্রশংসার পাত্র এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরোয়ার্দ্দি।