ঢাকার ধামরাইয়ে ৭ বছরের শিশুর গলার রুপার চেইন ছিনতাই করার জন্যই চকোলেটের লোভ দেখিয়ে জঙ্গলে নিয়ে খুন করা হয় স্কুলছাত্র জিসানকে। মঙ্গলবারর্ যাব ৪-এর কাছে আটক জিসানের হত্যাকারী নেশাখোর আল আমিন তার দায় স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তার আল আমিন একজন মাদকসেবী ও চুরি ছিনতাইকারী বলে সাংবাদিকদের জানায়র্ যাব।
র্
যাব আরও জানায়, স্কুলছাত্র জিসান রোববার বিকালে বাড়ির পাশে খেলছিল। এ সময় খুনি আল আমিন নেশায় আসক্ত হন। কিন্তু নেশা করার মতো তার কাছে টাকা না থাকায় সে জিসানের গলার চেইন ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে। জিসানকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে কালামপুর করবস্থানের পাশের জঙ্গলে নিয়ে সেখানে তাকে বলৎকার করে। এরপর তার চেইন ছিনতাই করে। বিষয়টি বাড়িতে বলে দিতে পারে বলে জিসানকে পরনের প্যান্টের রশি দিয়ে গলায় শ্বাসরোধ করে জিসানকে হত্যা করে আল আমিন। এরপর মৃতদেহটি গোপন করতে করবস্থানের পাশে একটি ভিটায় ফেলে পালিয়ে যায়।
সোমবার বিকালে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওইদিনই বিকালে কালামপুর থেকে আল আমিনকে সন্দেহভাজন হিসেবের্ যাব ৪ আটক করে।র্ যাবের জিজ্ঞাসায় জিসানকে খুনের কথা স্বীকার করে।
উলেস্নখ্য, ধামরাইয়ের কালামপুর বাজার এলাকার আব্দুস সালামের বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন নিহত জিসানের বাবা জুয়েল রানা। তিনি কালামপুরের একটি হোটেলে চাকরি করতেন। রোববার ওই ভাড়াটিয়া বাসা থেকে বিকাল তিনটায় নিখোঁজ হয় জিসান। সোমবার স্থানীয়রা কালামপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানের পাশে পরিত্যাক্ত ঘরে তার লাশ দেখতে পেয়ে প্রথমে তার পরিবার পরে ধামরাই থানা পুলিশে খবর দেয়। বিকালে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।