পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ডাক্তার সল্পতায় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। ২০০৮ সালে হাসপাতালটির উদ্বোধন হলেও প্রায় এক যুগ পরে আন্তঃবিভাগ সেবা চালু হয়। বর্তমানে ৩২ শয্যার আন্তঃবিভাগ সেবা চালু রয়েছে। যেখানে ১২ জন চিকিৎসকের প্রয়োজন সেখানে মাত্র তিনজন দিয়ে চলছে সেবা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বহিঃবিভাগে রোগীদের লম্বা লাইন। একজন ডাক্তার সেবা দিচ্ছেন আর একজন জরুরি বিভাগে ডিউটি করছেন। আবার ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদেরও সেবা দিচ্ছেন তিনি। উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের এক মাত্র চিকিৎসা কেন্দ্রটি বর্তমানে ডাক্তারের অভাবে বেহাল অবস্থা।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নূর উদ্দীন আহমেদ বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রম্নয়ারি মাসে এ হাসপাতালে ৯ জন ডাক্তারের পোস্টিং দেওয়া হলেও জয়েন করেছিলেন ৮ জন। ২ বছর যেতে না যেতেই বদলিজনিত কারণে ৬ জন ডাক্তার অন্যত্র পোস্টিং নিয়ে চলে গেছেন। বর্তমানে ৩ জন ডাক্তার আছেন, যাদের মধ্যে মাত্র একজন ডাক্তারের হাসপাতালে স্থায়ী পোস্টিং আছে, বাকি একজন ডাক্তারের পোস্টিং বালিপাড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং আরেকজন ডাক্তার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অ্যাটাচমেন্ট পোস্টিংয়ে আছেন। এ অবস্থায় জরুরি বিভাগ, আন্তঃবিভাগ ও বহিঃবিভাগে রোগীদের গুণগত সেবা দিতে ডাক্তাররা হিমশিম খাচ্ছেন। সব চিকিৎসক সপ্তাহে ৭২ ঘণ্টা করে দায়িত্ব পালন করছেন। তাই শিগগিরই এই হাসপাতালে ডাক্তার পদায়ন না করা হলে রোগীদের সেবাপ্রাপ্তির মান আরও কমে যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
উলেস্নখ্য, অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ৩ থেকে ৫ জন সাব-অ্যসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার থাকলেও এই হাসপাতালে মাত্র একজন আছেন। তাছাড়া লোকবল সংকট থাকা সত্ত্বেও এ হাসপাতালের একজন ওয়ার্ডবয় এবং একজন নাইটগার্ড দীর্ঘদিন যাবৎ সদর হাসপাতালে ডেপুটেশনে কাজ করছেন।
অতএব এই অঞ্চলের জনগণের মানসম্মত সেবা নিশ্চিতকল্পে শূন্যপদে কনসালট্যান্ট, মেডিকেল অফিসার, এসএসিএমও পদায়ন ও সদর হাসপাতালে ডেপুটেশনে থাকা কর্মচারীদের ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।