কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালীতে মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে মৃতু্যর সঙ্গে লড়ছেন জসিম উদ্দিন নামে এক যুবক। গত ২১ মে সন্ধ্যায় বালুখালী বাজারের ইজারাদার এবং ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিনের ওপর এ হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় আহত জসিমের ভাই খালেক বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের বেশকিছু চাল রোহিঙ্গারা বালুখালী ১নং ওয়ার্ডের মেম্বারের ভাইসহ জসিমদের কাছে বিক্রি করে। পরে সেই চাল জসিমরা বাইরে বেশি দামে বিক্রি করে থাকেন। আবার অন্য এক জায়গা থেকে আলাউদ্দিন ও তার সহযোগীরা মিলে চাল কিনে বাইরে বেশি দামে বিক্রি করেন। তবে জসিমরা যে রোহিঙ্গা ছেলের কাছ থেকে চাল কেনেন তাকে আলাউদ্দিন ও তার লোকজন জসিমদের কাছে বিক্রি করতে বাধা দেন এবং মারধর করেন। বিষয়টি জসিম ও তার সহযোগীরা ঘটনার দিন সাংবাদিকদের জানান।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন আলাউদ্দিন ও তার ভাগিনা মুন্না। এরপর ওইদিন আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জসিমের ওপর অতর্কিত হামলা চালান মাদক কারবারি ও মাদক মামলার আসামি আলাউদ্দিন, নুরুল ইসলাম মুন্না, জমির উদ্দিন, সেলিম উলস্নাহ, জয়নাল আবেদীন রিফু এবং রুবেলসহ আরও অজ্ঞাত ৬-৭ জন। হামলাকারীরা জসিমকে হকস্টিক, লোহার রড ও ছুরিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেন। এ সময় তার আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। এরপর ওসমান সরওয়ার নামে একজন সাংবাদিক ও তার সহযোগীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুতুপালং আলিফ হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা গুরুতর আহত জসিমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে না নিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে জসিম মৃতু্যর সঙ্গে লড়ছেন বলে জানিয়েছেন তার মেজোভাই বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী আকবর আহমদ।
এদিকে, আহত জসিমের আরেক ভাই খালেক বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন এবং আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন।