আনোয়ারায় আসামি ছিনতাইয়ে লঙ্কাকান্ড
পুলিশ জনতা সংঘর্ষ গাড়ি ভাঙচুর, ফাঁকা গুলি আহত ১২, থানায় মামলা
প্রকাশ | ১০ জুন ২০২৪, ০০:০০
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় মামলার আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় লঙ্কাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে কর্ণফুলী থানার ওসিসহ পুলিশ সদস্য ও কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন। এ সময় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর হয়। পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। লোকজন দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। পুরো এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। রাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। গত শনিবার রাত ১১টায় উপজেলার চাতরী চৌমুহনী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গত শুক্রবার আনোয়ারা উপজেলার বন্দর সেন্টারে বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করার আগেই আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরীসহ কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। আহত মান্নান চৌধুরী সাবেক ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির অনুসারী। এ ব্যাপারে কর্ণফুলী থানায় মামলা হয়। মামলার আসামি মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করতে গেলে আনোয়ারা ও কর্ণফুলী থানার পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় লোকজন পুলিশের কাছ থেকে মোজাম্মেল হককে ছিনিয়ে নেয়। মোজাম্মেল হক আনোয়ারা উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হকের সমর্থক। উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হক অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকালে আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর এলাকায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের একটি মতবিনিময় সভা শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হক ও তার কর্মী মোজাম্মেল হক চাতরী চৌমুহনী বাজারের একটি রেস্তোরাঁয় নাশতা করছিলেন। ওই সময় পুলিশ মোজাম্মেল হককে মামলার আসামি উলেস্নখ করে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যেতে চাইলে উপস্থিত লোকজন তাকে ছিনিয়ে নেয়। মোজাম্মেলকে ছিনিয়ে নেওয়ার সময় পুলিশ ও জনতার সংঘর্ষ বাধে। এ সময় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় চাতরী চৌমুহনী বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। এদিকে ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
আনোয়ারা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহানুর রহমান জানান, আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। পুলিশ গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।