ভেজাল ও নিম্নমানের মসলায় সয়লাব তাহিরপুর উপজেলার সবকটি হাটবাজার। আর ভেজাল মসলা উপজেলার সর্বত্র হাটবাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে সরাসরি যুক্ত রয়েছে বাদাঘাট কাঁচাবাজার সংলগ্ন ৫-৬টি মসলা মিল মালিক। ইট, অটো রাইস মিলের কুড়া ও কাঠের গুঁড়া মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে এ ভেজাল মসলা।
অধিক মুনাফা লাভের আশায় এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে গোপনে মসলায় ভেজাল মেশানোর কাজটি করে থাকলেও সম্প্রতি মো. আহাদ উলস্নাহ নামে বাদাঘাট বাজারের এক ব্যক্তি আব্দুল হান্নানের মসলা মিলে ভেজাল মেশানোর একটি ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
সেখানে তিনি লিখেন, 'বাদাঘাট বাজার মসলা বানানোর কারখানা। কাঠের গুঁড়া, অটোর কুড়া, লাল রঙের কেমিক্যাল আর অল্প কিছু মরিচ সব একসঙ্গে মিশিয়ে এগুলিকে মেলিং করে বাজারজাত করা হচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ এগুলি বাজার থেকে কিনে খাচ্ছে। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।'
এর পরপরই এ ভেজাল পণ্য নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ দেখা দেয় বাদাঘাট বাজারসহ উপজেলার সর্বত্র হাটবাজারের ক্রেতা সাধারণদের মধ্যে।
তাহিরপুর সদর উজান তাহিরপুর গ্রামের সাইদুল কিবরিয়া জানান, তিনি বাদাঘাট বাজারের মিল থেকে প্রায়ই মসলা ভাঙ্গিয়ে থাকেন। কিন্তু এ মিলগুলোতে এভাবে ভেজাল মিশিয়ে মসলা সরবরাহ করা হয় তা তিনি আগে জানতেন না।
এ বিষয়ে মসলা মিল মালিক আব্দুল হান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে বাদাঘাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সেলিম হায়দার জানান, মসলাতে ভেজাল মেশানোর ভিডিওটি সঠিক। যার মিলে মেশানো হয়েছে সে স্বীকার করেছে তার মিলেই এ ভেজালের কাজটি করা হয়েছে। তাছাড়া তিনি আরও জানান, তিনি গত দু'দিন ধরে নিয়মিত মসলা মিলে যাচ্ছেন, মিল মালিকরা তাকে প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছেন ভবিষ্যতে তারা আর এমন কাজ করবেন না।
তাহিরপুর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মকবুল হোসেন বলেন, বাদাঘাট বাজারের মসলা মিলগুলো ভেজাল মসলা তৈরি করছে অনেকেই তার নিকট অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তিনি সরেজমিন দেখে ব্যবস্থা নেবেন।