বারিতে অংশীজন সভায় বক্তারা

বিটি বেগুন পরিবেশবান্ধব অর্থ সাশ্রয়ী

প্রকাশ | ১০ জুন ২০২৪, ০০:০০

গাজীপুর প্রতিনিধি
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর গবেষণা উইংয়ের উদ্যোগে রোববার বারির মহাপরিচালকের সভাকক্ষে বিটি বেগুন সম্পর্কিত একটি অংশীজন (স্টেকহোল্ডার) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিটি বেগুন পরিবেশবান্ধব-অর্থ সাশ্রয়ী। বারির মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিটি বেগুন সম্পর্কে মূল প্রবন্ধ আলোচনা করেন প্রকল্প পরিচালক, আইআরইপি, ড. মারিসেলিস অ্যাসেভেদো। বিটি বেগুন সম্পর্কে আরও বিভিন্ন বিষয়ে উপস্থাপনা করেন সাবেক পরিচালক (বারি) ড. জাহাঙ্গীর হোসেন; প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (জীব প্রযুক্তি বিভাগ) ড. মোহাম্মদ কামরুল হাসান এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সিনিয়র কর্মকর্তারা। উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (গবেষণা অনুবিভাগ) ড. সাবিনা ইয়াসমিন; বারির পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. তারিকুল ইসলাম; পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. ফেরদৌসী ইসলাম; পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. আবু হেনা ছরোয়ার জাহান; পরিচালক (উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র) ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ এবং বারির বিভিন্ন কেন্দ্র/বিভাগ/শাখার সিনিয়র বিজ্ঞানীরা। সভার সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিচালক (গবেষণা) ড. আব্দুলস্নাহ ইউছুফ আখন্দ। বারির মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার জানান, বিটি বেগুন মাজরা পোকা প্রতিরোধক্ষম হওয়ায় এ জাতের বেগুন চাষে কম কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। এতে একদিকে পরিবেশ দূষণ কম হয় অপরদিকে অর্থ সাশ্রয় হয়। অর্থাৎ বিটি বেগুন পরিবেশবান্ধব ও অর্থ সাশ্রয়ী জাত। বারির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (জীব প্রযুক্তি বিভাগ) ড. মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, বারিতে চার জাতের বিটি বেগুন উদ্ভাবন করা হয়েছে। এসব বেগুন কান্ড ও ফল ছিদ্রকারী পোকা প্রতিরোধী হওয়ায় ফলন ভালো হয়। কৃষকদের এসব বেগুন জাত চাষে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। হেক্টরপ্রতি এর গড় ফলন প্রায় ৪০ টন। খুলনার কয়রা এলাকায় এ বেগুন ব্যাপক চাষাবাদ হওয়ার কারণে সেখানে একটি অঞ্চলকে বিটি ভিলেজ নামে নামকরণ হয়েছে।