'কিশোরগ্যাংয়ের উচ্ছৃঙ্খলতা রুখতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে' জানিয়ে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহ মো. সজীব বলেছেন, 'অল্প বয়সি কিছু ছেলে জোটবদ্ধ হয়ে বিশৃঙ্খল কাজকর্ম করে বেড়াচ্ছে বা করার চেষ্টা করছে। এরা আবার ছিনতাই, চুরি, মাদকের সঙ্গে জড়িত। ফলে এক অন্ধকার জীবনের দিকে এগিয়ে যেতে চায় যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। জীবন কী বোঝার আগেই দু-একটি মামলায় আসামি হয়ে যাচ্ছে কেউ কেউ। অথচ তাদের হওয়ার কথা ছিল দু-একটি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন। কেন তারা এ পথে চলে যাচ্ছে বা জড়িয়ে পড়ছে সেটার কারণ খুঁজে বের করতে হবে। কারণগুলোতে জোর দিতে পারলে এটি আর বাড়বে না বা বন্ধ হয়ে যাবে।'
ইউএনও সজীব বলেন, সবার আগে বাবা মাকে দায়িত্ব নিতে হবে। কিশোর সন্তান কোথায় যায়, কী করে, কার সঙ্গে মেশে, কেন মেশে এসব তদারকি করতে হবে। তার প্রতিটি সময়ের হিসাব চাইতে হবে। রাতে বাইরে অবস্থান করতে দেওয়া যাবে না। স্কুল-কলেজের শিক্ষকদেরও শক্ত হতে হবে যাতে তার কোনো শিক্ষার্থী বিপথগামী না হয়। প্রত্যহ সমাবেশে এসব বিষয়ে বক্তব্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতাদের সদা সজাগ থাকতে হবে। কোনো পাড়া, এলাকা, মহলস্নায় যেন এরা বাড়তে না পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পুলিশ, প্রশাসন সবাইকে সদা জাগ্রত থাকতে হবে। অপরাধ করে বসলে আর কোনো ছাড় নয়। পাড়া-মহলস্নায় নানাবিধ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে হবে। যাতে তারা বাজে কাজে যেতে না পারে। পড়াশোনা বা কোনো কর্মের বাইরে রাখা যাবে না এসব কিশোরদের। পড়াশোনা না করলে অতিদ্রম্নত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। বিদেশ পাঠানো যেতে পারে। ঢাকায় কর্মে নিয়োজিত করা যেতে পারে। নানা প্রশিক্ষণে ব্যস্ত রাখা যায়।
ইউএনও বলেন, সাংবাদিক সমাজকেও তৎপর হতে হবে। কোনো এলাকায় এমন বয়সিদের উৎপাত শুরু হলে কলম ধরতে হবে। তাদের অপকর্ম তুলে ধরতে হবে যাতে তা অঙ্কুরেই বিনাশ করা যায়। ফেসবুক, ইউটিউবে তারা যেন কোনো অনলাইন কার্যক্রম করতে না পারে সেক্ষেত্রে সতর্ক থাকা দরকার। কারও কাছে কোনো তথ্য থাকলে স্থানীয় প্রশাসন, থানা অথবা ৯৯৯ এ কল করে জানাতে হবে। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলেই এসব কিশোর গ্যাংয়ের উচ্ছৃঙ্খলতা রুখে দেওয়া যাবে এবং সমাজে শান্তি বিরাজ করবে। তাই আসুন সবাই সবার দায়িত্বটুকু পালন করি।