কক্সবাজারের উখিয়ায় ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার, গ্রাম পুলিশ, দফাদার ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জোরপূর্বক ভোট নেওয়ার অভিযোগ এনে উখিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজাপালং ইউনিয়নে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবুল মনসুর চৌধুরী।
গত ২৯ মে অনুষ্ঠিত উখিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজাপালং ইউনিয়নের ফলিয়াপাড়া আলীমউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুতুপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাতাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রেজুরকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খয়রাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ রাজাপালং ইউনিয়নের ১৮টি কেন্দ্রে জোরপূর্বক ভোট নেওয়ার অভিযোগ তোলেন উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবুল মনসুর চৌধুরী (মোটর সাইকেল মার্কা)
গত শুক্রবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আবুল মনসুর চৌধুরী বলেন, 'উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটি ইউনিয়নে ১৩২১ ভোটে আমি জয়ী ছিলাম। কিন্তু রাজাপালং ইউনিয়নের ভোটারদের গোপন ভোটকক্ষে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর লোকজন গিয়ে জোরপূর্বক আনারস প্রতীকে ভোট দিয়ে ইভিএমে অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। রাজা পালং ইউনিয়নে ভোটাররা ফিঙ্গার দিলেও জোরপূর্বক ভোট দিয়েছে তার লোকজন। জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে কেন্দ্র দখল করে ফলিয়াপাড়া আলিম উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে ২৩২৩ ভোট নেন আনারস প্রতীকে। পক্ষান্তরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মোটর সাইকেল মার্কা পান মাত্র ১৩ ভোট। এ ছাড়া উখিয়া মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আনারস মার্কায় ৮১১ ভোট ও মোটর সাইকেল মার্কা পান ৫৮ ভোট এবং পাতাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আনারস প্রতীক পান ৮৬৭ এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মোটর সাইকেল মার্কা পেয়েছে ৯৮ ভোট। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হলেও দুই প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান দেখা দিয়েছে। অস্বাভাবিক প্রাপ্ত ভোটের বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত হওয়া উচিত।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি উখিয়া উপজেলার ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি চারটি ইউনিয়নে এত কড়াকড়ি ও প্রভাব বিস্তারের পরও আমাকে ভোট প্রদান করায়। কেন্দ্রের ভেতর নিজস্ব বাহিনী দ্বারা জোরপূর্বক ভোট নেওয়ার অভিযোগ তোলে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।'