রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১

অনুমতি নেই কোরবানি হাটের, তবুও লাখ-লাখ টাকা হাসিল আদায়!

লক্ষ্ণীপুর প্রতিনিধি
  ০৯ জুন ২০২৪, ০০:০০
লক্ষ্ণীপুরের রায়পুর উপজেলার কোরবানির পশুরহাট মোলস্নার বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় -যাযাদি

লক্ষ্ণীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার একটি জনপ্রিয় হাট হচ্ছে মোলস্নার (হাট) বাজার। কোরবানি ঈদ উপলক্ষে এ হাটে প্রচুর গরু, মহিষ ও ছাগল ওঠে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বাজারে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারপরও রশিদ ব্যবহার করে হাসিলের নামে আদায় করা হচ্ছে লাখ-লাখ টাকা।

শনিবার দুপুরে দক্ষিণ চর বংশির ইউনিয়নের মোলস্নার হাট বাজারে গেলে চোখে পড়ে ৩টি পয়েন্টে গরু বাজার, একটি ছাগল বাজার ও একটি মহিষের বাজার। ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

খবর নিয়ে জানা গেছে, মোলস্নার (হাট) বাজার সাপ্তাহিক দুইদিন বসে, শনিবার ও মঙ্গলবার। এ বাজারে সঠিক নাম হচ্ছে বাহার আলী মোলস্নার হাট। কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট মিলে এ বাজারে। সরকারিভাবে এ বাজারে কোরবানি পশুর হাটের অনুমতি নেই।

তবুও প্রভাবশালী একটি চক্র অবৈধভাবে পশুর হাট বসিয়ে লাখ লাখ টাকা টোল আদায় করছে। এতে চুপচাপ রয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।

এ হাটে জেলার বাইরে নোয়াখালী, ভোলা, বরিশাল ও শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন জেলার খামারি ও বেপারীরা গরু নিয়ে আসে। এ হাট থেকে ১-২ কিলোমিটার দূরত্বে মেঘনা নদী। এজন্য নৌপথে গরু আনা-নেওয়া খুব সহজ হয় খামারিদের।

২০১৪ সালের পর থেকে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত। জনস্রোতে রয়েছে সরকার বছরে প্রায় ২ থেকে ৩ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে এ বাজার থেকে। আর আঙুল ফুলে-ফেঁপে উঠছে ক্ষমতাসীন দলের একটি গ্রম্নপ।

এ বাজার পুরো নিয়ন্ত্রণ করেন রশিদ মোলস্না তার ছেলে মনির মোলস্না, দিদার মোলস্না, হারুন মোলস্নাসহ তাদের মোলস্না পরিবারের একটি গোষ্ঠী।

৮নং দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মোলস্না বলেন, 'বাহার আলী ওয়াকফ এস্টেটের নামে এ বাজার।

পশুর হাট থেকে যে টোল আদায় করা হয়, সেই টাকা মোলস্নার হাট জামে মসজিদের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হয়। দৃশ্যমান টোল আদায় হয় না। সামান্য কিছু টাকা ওঠে।'

জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, যেসব স্থানে পশুর হাটের অনুমতি নেই, সেখানে কেউ যদি অবৈধভাবে হাট বসায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ জানান, অবৈধ পশুর হাটের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকলে সঙ্গে-সঙ্গেই জেলা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

উলেস্নখ্য, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে লক্ষ্ণীপুরে অর্ধশতাধিক স্থানে বসবে কোরবানির পশুর হাট বিষয়টি জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান ৫ জুন তার কার্যালয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রস্তুতি বিষয়ক সভায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে