রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

রাজশাহীর কৃষি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পর্যটন খাতে কাজ করার আগ্রহ ইন্দোনেশিয়ার

রাজশাহী অফিস
  ০৮ জুন ২০২৪, ০০:০০
রাজশাহীর কৃষি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পর্যটন খাতে কাজ করার আগ্রহ ইন্দোনেশিয়ার

রাজশাহীতে কৃষি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পর্যটন খাতের উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী ইন্দোনেশিয়া। দুই দিনের রাজশাহী সফরে এসে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পৃথকভাবে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করে এ তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো।

এর আগে গত বুধবার বিকালে তিনি রাজশাহী আসেন। পরে নগর ভবনের সিটি মেয়রের সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রদূত। পরের দিন বৃহস্পতিবার বিকালে চেম্বার ভবনে রাজশাহীর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো। এ সময় রাষ্ট্রদূত রাজশাহীতে কৃষি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পর্যটন খাতে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

নগরভবনে পৌঁছালে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। পরে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। শেষে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতের হাতে 'ম্যাংগো ক্রেস্ট' ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন রাসিক মেয়র। এ সময় সিটি মেয়রকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত।

বৈঠকে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, 'ইন্দোনেশিয়ায় উন্নতমানের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাজশাহীর শিক্ষার্থীদের এক বছর মেয়াদি স্কলারশিপ এবং আর্ট অ্যান্ড কালচারাল ক্ষেত্রে তিন মাস মেয়াদি স্কলারশিপ প্রদানের মাধ্যমে উভয় দেশের জ্ঞান ও সংস্কৃতি বিনিময় করতে চাই। এছাড়া রাজশাহী যেহেতু কৃষিপ্রধান অঞ্চল, তাই এ অঞ্চলের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে কাজ করতে আমরা আগ্রহী।'

তিনি আরও বলেন, 'এটি আমার রাজশাহীতে প্রথম সফর। রাজশাহীর পরিচ্ছন্নতা ও সিটি মেয়রের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও ভিশন দেখে মুগ্ধ হয়েছি।'

রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, 'ইন্দোনেশিয়া আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দীর্ঘ সময় বৈঠক হয়েছে। বৈঠককালে তিনি রাজশাহীর সঙ্গে কৃষি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পর্যটন ইত্যাদি খাতে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সোলার পস্নান্ট স্থাপন, শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ ও টু্যরিজমের কোন কোন ক্ষেত্রে কাজ করা যায়, সেটি আমরা রাষ্ট্রদূতকে সুর্নিদিষ্ট করে লিখিতভাবে জানাব।'

রাসিক মেয়র আরও বলেন, 'রাজশাহী কৃষিপ্রধান অঞ্চল। বৈঠকে আমরা কৃষিপণ্য ভিত্তিক ইন্ডাস্ট্রি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করেছি। এছাড়া শিক্ষানগরী রাজশাহীতে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখানকার শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ প্রদানের বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত আগ্রহী। এটি চালু হলে জ্ঞান বিনিময়ে উভয় দেশ লাভবান হবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে