মহাসড়কে অবৈধ থ্রি হুইলারের দৌরাত্ম্য

প্রকাশ | ০৮ জুন ২০২৪, ০০:০০

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে অবৈধ থ্রি-হুইলারের দৌরাত্ম্য দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে পালস্না দিয়ে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। অকালেই প্রাণ হারাচ্ছে অনেকেই। আবার অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে অকালে। সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত মালামাল বহন, গাড়ি চালানোর সময় চালকের মোবাইল ফোনে কথা না বলা, চালকের পাশে লোক না বসানো, অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি না চালানো, থ্রি-হুইলার মহাসড়কে না চালানোর জন্য সরকার আইন করেছে। মহামান্য হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার তাগিদ দিলেও একাধিকবার পদক্ষেপ নিলেও অদৃশ্য কারণে বন্ধ হচ্ছে না এসব। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সীমানায় অবাধে আইন অমান্য করে চলছে সবাই। হাইওয়ে পুলিশ সেদিকে কোনো প্রকার নজর দিচ্ছে না। তাদের চোখের সামনেই অবাধে চলছে মহাসড়কে মরণঘাতক এসব নিষিদ্ধ যানবাহন। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ জেলার প্রায় ৬৫ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। জেলার সর্বত্রই একই চিত্র। বিশেষ করে থ্রি-হুলার নছিমন, করিমন, অটোবাইক, ভডভডি, ইজি বাইকের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলছে। ফলে গোপালগঞ্জ জেলা এলাকায় শতাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে এসব কারণে। অকালে ঝরে গেছে শতাধিক মানুষের প্রাণ। পঙ্গুত্ববরণ করে অসহায় জীবনযাপন করতে হচ্ছে অনেককেই। সপ্ন ভঙ্গ হয়েছে অনেক পরিবারের। কয়েকজন নছিমন চালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, 'হাইওয়ে থানার সঙ্গে চুক্তি করে আমরা নছিমন চালাই।' আবার কয়েকজন নছিমন ও ইজিবাইক চালক জানায়, টাকা না দিলে মামলা দিয়ে দেন পুলিশ। দুই-চারশ' টাকা দিলে মামলার হাত থেকে বাচা যায়। আমরা গরিব অসহায় মানুষ মামলা না খেয়ে টাকা দিয়ে দেওয়াই ভালো হয়।' তবে ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাশেম মাতবর অর্থ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।