চরফ্যাশনে মসজিদে তালা, জুমার নামাজ আদায় করলেন রাস্তায়

প্রকাশ | ০৮ জুন ২০২৪, ০০:০০

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
ভোলার চরফ্যাশনে ইমাম ও মুসলিস্নদের মারধর করে মসজিদে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জিয়াউদ্দিন সোহাগ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। তিনি আছলামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বশির আহমেদের ছেলে। এতে মুসলিস্নরা মসজিদে ঢুকতে না পেরে জুমার নামাজ আদায় করলেন খোলা আকাশের নিচে রাস্তায়। শুক্রবার উপজেলার আছলামপুর ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডে অবস্থিত বাইতুস সালাম জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, ৩ বছর আগে জিয়াউদ্দিন সোহাগের নিকট থেকে বাইতুস সালাম জামে মসজিদ স্থাপনের জন্য ২২ শতাংশ জমি ক্রয় করা হয়। বায়না চুক্তি অনুযায়ী মুসলিস্নগণ মসজিদ স্থাপন করে দীর্ঘদিন ধরে জুমার নামাজসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে আসছেন। পর্যায়ক্রমে সকল টাকা পরিশোধ করলেও এখন জমির দলিল দিতে অস্বীকৃতি জানায় সোহাগ। সোহাগের দাবি ৩ বছর পূর্বের চুক্তিপত্র বাতিল করে বর্তমান মূল্যে তাকে জমির দাম পরিশোধ করতে হবে। তা না হলে জমির দলিল দেওয়া হবে না এবং মসজিদে কোনো মুসলিস্ন নামাজ আদায় করতে পারবে না। গত ৩ জুন তার কথা অমান্য করে জোহরের নামাজ আদায় করতে গেলে ইমাম ও মুসলিস্নদের মারধর করে মসজিদে তালা লাগিয়ে দেন জিয়াউদ্দিন সোহাগ। মসজিদ কমিটির সভাপতি কফিলউদ্দিন হাওলাদার বলেন, সোহাগ মুসলিস্নদের মারধর করে মসজিদ থেকে বের করে দিয়েছে। অতিরিক্ত টাকা না দেওয়া পর্যন্ত মসজিদে নামাজ পড়তে নিষেধ করেছে। আছলামপুর ১নং ওয়ার্ড মেম্বার ইয়াছিন সেলিম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান ছাড়া আমার পক্ষে সোহাগের বিচার করা সম্ভব নয়। অভিযোগ প্রসঙ্গে জিয়াউদ্দিন সোহাগ বলেন, 'আমার পাওনা টাকা দিয়ে নামাজ পড়তে বলেছি। মসজিদে তালা দিলেও পরে আমি চাবি নিতে সভাপতির নিকট ফোন করেছি। তবে কেউ চাবি নিতে আসেননি।' আছলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিলিটারি বলেন, 'এ বিষয়ে আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে এমন ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডের জন্য সোহাগের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'