রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১
প্রার্থীদের অভিযোগের পাহাড়, দুশ্চিন্তা ও হতাশা

বগুড়ায় প্রতীক ভুলের ঘটনায় সরকারের কোটি টাকার ক্ষতি

ইমারান হোসাইন লিখন, বগুড়া
  ০৭ জুন ২০২৪, ০০:০০
বগুড়ায় প্রতীক ভুলের ঘটনায় সরকারের কোটি টাকার ক্ষতি

নির্বাচন কর্মকর্তাদের অবহেলায় সরকারের গচ্চা যাচ্ছে প্রায় চার কোটি টাকা। এ ছাড়া প্রার্থীদেরও পুনরায় ব্যয় হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এসব কারণে হযবরল সৃষ্টি হয়েছে বগুড়া সদর উপজেলার পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে স্থগিত হওয়া ভোটে। তবে যে ভুলের কারণে ভোট স্থগিত করা হয়েছিল সেই ভুলটি সংশোধন না করেই আবারো ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে আগামী ৯ জুন। এ ঘটনায় আইসক্রিম প্রতীকের প্রার্থী আবারও হাইকোর্টে রিট করেছে বলে জানা গেছে। অর্থাৎ কাঠিওয়ালা প্রতীকের স্থানে কুলফি আইসক্রিমযুক্ত ব্যলটেই ভোট গ্রহণ করা হবে।

গত ২৯ মে বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় কিন্তু বেলা সারে ১০টার দিকে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদের ভোট স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। এই ঘটনার কারণ ছিল প্রতীক ভুল অর্থাৎ কাঠিওয়ালা আইসক্রিম প্রতীকের স্থানে ছিল কুলফি আইসক্রিম। বিষয়টি ভোট গ্রহণের প্রায় ২ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা কিংবা ভোট গ্রহণকারীদের নজরে আসেনি। তবে ভোটাররা ভোট প্রদান করতে গিয়ে আইসক্রিম প্রতীক খুঁজে পায় না। এ সময় বিষয়টি নিয়ে হইহুলেস্নাড় সৃষ্টি হলে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আইসক্রিম প্রতীকের এই প্রার্থীর কাছে জানাতে থাকে। একপর্যায়ে প্রার্থী বগুড়া সাতমাথা মুজীব মঞ্চের সামনে এসে সাংবাদিকদের ওই বিষয়টি জানালে তাৎক্ষণিক বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ঢালাও করে প্রচার হতে শুরু করে। একপর্যায়ে তখন বাধ্য হয়ে নির্বাচন কমিশন এই পদের ভোট স্থগিত করেন। স্থগিত হওয়া ভোট আগামী ৯ জুন।

বগুড়া জেলা অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার সৈয়দ আবু ছাইদ বলেন, 'আমি পারিবাকিভাবে খুবই বিপর্যন্ত অবস্থার মধ্যে আছি তাই এসব বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারব না।'

সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, 'আমি খুবই ক্লান্ত এসব বিষয়ে আবু ছাইদ সাহেবের কাছে থেকে একটু জেনে নেন।'

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন শিউলি বলেন, 'একটি নির্বাচনে আমাদের দাপ্তরিক ব্যয় প্রায় দুই কোটি টাকা। এ ছাড়া প্রশাসনকে যেমন ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ,র্ যাব, বিজিবি ও আনসাদের জন্য অনেক ব্যয় হয়। তাতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনুমানিক প্রায় চার কোটি টাকায় ব্যয় হয়। ৯ তারিখের নির্বাচনের ক্ষেত্রেও প্রায় একই ব্যয় হবে।'

বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজা পারভিন বলেন, 'প্রতীক ভুলের বিষয়টি নির্বাচন অফিসের কোথাও থেকে হয়েছে। এই দায়টি মূলত তাদের। তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমরা প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছি এবং তা সঠিকভাবে পালন হয়েছে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে