রাতের আঁধারে 'চন্দনা কমিউটার ট্রেন' আটকে দিল ফরিদপুরবাসী

প্রকাশ | ০৭ জুন ২০২৪, ০০:০০

ফরিদপুর প্রতিনিধি
রেলমন্ত্রীর আশ্বাসের এক মাস পেরিয়ে গেলেও ফরিদপুরে স্টপেজ (যাত্রাবিরতি) না হওয়ায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রাজবাড়িগামী 'চন্দনা কমিউটার ট্রেন' রাতের আঁধারে আটকে দিয়েছে ফরিদপুরের সর্বস্তরের জনগণ। গত বুধবার রাত পৌনে ৯টা থেকে প্রায় ৪০ মিনিট ফরিদপুর রেলস্টেশনে চন্দনা কমিউটার ট্রেনটি থামিয়ে বিক্ষোভ করা হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা বলেন, 'আমরা এর আগে ফরিদপুরে চন্দনা কমিউটার ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে কয়েক দফা আন্দোলন করি। এর প্রেক্ষিতে রেলমন্ত্রী জুন মাসের শুরুতে চন্দনা কমিউটার ট্রেন ফরিদপুরে স্টপেজ করার প্রতিশ্রম্নতি দেন। তবে মন্ত্রী সেই প্রতিশ্রম্নতি বাস্তবায়ন করেননি। তাই এ সময় মন্ত্রীর ওপর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিতা প্রকাশ করেন বিক্ষোভকারীরা। খবর পেয়ে ফরিদপুরের কোতোয়ালী থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামানের নেতৃত্ব পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা ট্রেনটি ছেড়ে দেন। এর আগে একই দাবিতে গত ৫ মে ট্রেন চালুর দিন মানববন্ধন ও ১১ মে স্টপেজের দাবিতে কাফনের কাপড় শরীরে জড়িয়ে রেললাইনে শুয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ফরিদপুরবাসী। এ প্রেক্ষিতে রেলমন্ত্রী জিলস্নুল হাকিম ফরিদপুরের ভাঙ্গার একটি অনুষ্ঠানে জুন মাসের শুরুতে ফরিদপুরে স্টপেজ দেওয়ার প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা আবরার নাদিম ইতু বলেন, বর্তমান সরকারের সাফল্যের আরেকটি নতুন অধ্যায় রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা হয়ে ঢাকার সঙ্গে নতুন দু'টি কমিউটার ট্রেন চালু। তবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো, ফরিদপুরের ওপর দিয়ে গেলেও ফরিদপুর রেলস্টেশনে কোনো স্টপেজ রাখা হয়নি। এতে ফরিদপুরের যাত্রীরা সুলভে ঢাকার সঙ্গে যাতায়াতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা রেলমন্ত্রীর কাছে অনতিবিলম্বে ফরিদপুর রেলস্টেশনে এই চন্দনা কমিউটার ট্রেনের স্টপেজের দাবি জানাই। রেলওয়ে সূত্র জানা গেছে, এই রেলপথ দিয়ে বেনাপোল এক্সপ্রেস, সুন্দরবন, রাজশাহী ও নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস চলাচল করে। চারটি ট্রেনেরই ফরিদপুরে যাত্রাবিরতি রয়েছে। কিন্তু চন্দনা কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতি ফরিদপুর রেলস্টেশনে না থাকায় এই বিক্ষোভ করে আসছে ফরিদপুরের সর্বস্তরের জনগণ।