আব্দুল আলীম নামের এক ব্যক্তি বিদু্যতের নতুন সংযোগের জন্য আবেদন করেন গত ২৪ এপ্রিল। এরপর নিয়ম অনুযায়ী তিনি গত ২৮ এপ্রিল পলস্নী বিদু্যৎ অফিসে টাকা জমা দেন। একই প্রক্রিয়ায় আজিজুর রহমান সরদার নামের মসজিদ কমিটির সভাপতি এবং পিকুল নামের এক ব্যক্তি নতুন সংযোগের জন্য আবেদনপূর্বক নির্ধারিত টাকা জমা দেন। এভাবে নতুন বিদু্যৎ সংযোগের জন্য আবেদনপূর্বক টাকা জমা দেন ১৮০ ব্যক্তি। পলস্নী বিদু্যতের সার্ভারে দেখাচ্ছে তাদের সংযোগ স্থাপন হয়ে গেছে। কিন্তু গত দুই মাসে ১৮০ জনের কারও নতুন সংযোগ স্থাপন হয়নি। এই গোলমেলে অবস্থা চলছে মাগুরার মহম্মদপুরে। এসব আবেদনকারী কবে নাগাদ নতুন সংযোগ পাবেন তার ঠিক নেই।
মাগুরার পলস্নী বিদু্যৎ সমিতির মহম্মদপুর জোনাল অফিসের আওতায় উপজেলার আট ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ১৮০ জন আবেদনকারী নতুন বিদু্যৎ সংযোগ পাচ্ছেন না। গত এপ্রিল ও মে মাসে তারা আবেদন করেছেন। সার্ভিস তার না থাকার কারণে নতুন সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে স্থানীয় বিদু্যৎ বিভাগ। ফলে আবেদনকারী গ্রাহকরা দুই মাসেও বিদু্যৎ সংযোগ না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন।
সূত্র মতে, গত দুই মাসে ১৮০ জন নতুন সংযোগের জন্য আবেদন করেন। ওই হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে তিনটি করে আবেদন পড়েছে। কিন্তু গত দুই মাসে নতুন কোনো সংযোগ দেওয়া হয়নি।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, গত এপ্রিল ও মে মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১৮০ ব্যক্তি বিদু্যতের নতুন সংযোগের জন্য আবেদনপূর্বক নির্ধারিত টাকা জমা দেন। এরপর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও তারা নতুন সংযোগ পাচ্ছেন না। স্থানীয় পলস্নী বিদু্যৎ অফিসে ধর্ণা দিচ্ছেন তারা। নতুন মিটারের (নতুন সংযোগ) জন্য দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিনই অনেক আবেদনকারী পলস্নী বিদু্যৎ অফিসে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। ফলে তাদের দুর্ভোগ বাড়ছে।
উপজেলার মৌশা বায়তুর সার্ফ জামে মসজিদের সভাপতি আজিজুর রহমান সরদার বলেন, 'মসজিদে নতুন সংযোগের জন্য গত ২৪ এপ্রিল নির্ধারিত টাকা জমা করেছি। মিটার না লাগার কারণ জানতে পাঁচ থেকে ছয়বার অফিসে গেছি। ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত। কবে মিটার লাগবে অফিস থেকে পরিষ্কার করে কিছু জানাতে পারছে না। তারা বলছে সার্ভিস তার আসলেই মিটার লাগিয়ে দেওয়া হবে।'
উপজেলা সদরের বাজার রাধানগর গ্রামের আব্দুল আলীম বলেন, 'আমি গত ২৮ এপ্রিল নতুন সংযোগের জন্য অফিসে টাকা জমা দিয়েছি। এরপর তিন থেকে চার বার অফিসে গেছি, তারা বলে তার নেই, তাই সংযোগ দিতে পারছে না।'
পলস্নী বিদু্যতের মহম্মদপুর জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) মাসুদ রানা বলেন, 'সার্ভিস তার না থাকায় নতুন আবেদনকারীদের সংযোগ দেওয়া যাচ্ছে না। সার্ভিস তার আসলেই শিগগিরই সংযোগ দেওয়া হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'টাকা জমা হওয়ার কারণে মিটার স্থাপন হয়েছে মর্মে সার্ভার অটোমেটিক এই তথ্য জানাচ্ছে।'