অবৈধ দখলদারদের বাধার মুখে নাটোরের নলডাঙ্গা বারনই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ দখলমুক্ত করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। বৃহস্পতিবার সকালে নলডাঙ্গা পৌর মেয়র মনিরুজ্জামানের মধ্যস্থতায় আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। এর মধ্যে দখলকৃত অবৈধ স্থাপনা দখলদারের নিজ খরচে অপসারণ করার লিখিত চুক্তিপত্র করা হয়। চুক্তিপত্র অনুযায়ী দখলদাররা তাদের অবৈধ স্থাপনা অপসারণ না করলে পরবর্তীতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছেন নাটোর পাউবো'র নির্বাহী প্রকৌশলী।
জানা যায়, নলডাঙ্গা উপজেলার বারনই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত জায়গায় দখলদাররা বাড়ি ও দোকান ঘরসহ অন্তত ৪০ স্থাপনা নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছিল। স্থানীয় কিছু বাসিন্দার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার উদ্যোগ নেয় নাটোর পাউবো কর্তৃপক্ষ। এর আগে এসব স্থাপনা অপসারণের নোটিশ ও মাইকিং করা হয়। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নলডাঙ্গা উপজেলা ভূমি কমিশনার আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় পাউবো'র কর্মীরা নলডাঙ্গা বাজারের কেন্দ্রীয় মসজিদের পেছনে দখলকৃত জমি উদ্ধারে গেলে বাধার সৃষ্টি করে দখলকারীরা। এক পর্যায়ে তারা রাস্তায় বসে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে বিভিন্ন পস্নাকার্ড ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন করেন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে দীর্ঘসময় বাকবিতন্ডার পর দুপুরে পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান মনিরের মধ্যস্থতায় আসন্ন কোরবানি ঈদ পর্যন্ত সময় দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করা হয়।
নলডাঙ্গা পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান বলেন, আসন্ন কোরবানি ঈদ সামনে রেখে জনগণের দাবির মুখে নাটোর উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে মানবিক দিক বিবেচনা করে এ উচ্ছেদ অভিযান আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
নাটোর পাউবো'র নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, এসব অবৈধ স্থাপনা অপসারণের জন্য বারবার নোটিশ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে দখলদাররা এসব অপসারণ না করায় জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় এস্কেভেটর নিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যান। এ সময় দখলদাররা বাধা দিয়ে আসন্ন কোরবানি ঈদ পর্যন্ত সময় প্রার্থনা করেন। এরই প্রেক্ষিতে মেয়রের মধ্যস্থতায় আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। এর মধ্যে দখলদাররা নিজ খরচে অবৈধ স্থাপনাগুলো নিজেরা অপসারণ করবে বলে একটি সরকারি স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা করা হয়। এরপরও এসব স্থাপনা অপসারণ না করলে ১ জুলাইয়ের পর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।