গোলাপগঞ্জের নিম্নাঞ্চল পস্নাবিত খোলা হয়েছে ৫৭ আশ্রয়কেন্দ্র
প্রকাশ | ০৬ জুন ২০২৪, ০০:০০
গোলাপগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব, ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের কয়েকটি উপজেলায় বন্যা দেকা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি। এ দুই নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গোলাপগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল পস্নাবিত হতে শুরু করেছে।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় গোলাপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ৫৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে। এছাড়াও খোলা হয়েছে উপজেলা কন্ট্রলরুম।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে গত কয়েকদিন থেকে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুশিয়ারা ও সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি অবিরত বৃদ্ধি পাওয়ায় আরও কিছু এলাকা পস্নাবিত হওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
ইতিমধ্যে গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের নলুয়া, কান্দিগ্রাম, তুরুকবাগ, খালপার, জালালনগর, রোস্তমপুর, কালাকোনা, এখলাছপুর, বুধবারীবাজার ইউনিয়নের বহরগ্রাম কালিজুরী, বাণিগ্রাম, আমুড়া ইউনিয়নের সুন্দিশাইল, উপর ঘাগুয়া, লামা ঘাগুয়া, শিকপুর, শিলঘাটের একাংশ এবং বাদেপাশা ইউনিয়নের মিরেরচক, আনন্দপুর, সুপাটেক, কালাইন, কোনাগাউ, পূর্ব বাগলাসহ নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোর মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
বাগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ উদ্দিন জানান, 'কয়েকদিনের টানাবৃষ্টি এবং কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার এলাকার মানুষ দুর্ভোগে রয়েছেন।'
বাঘা ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ রাসেল আহমদ জানান, এ ইউনিয়নের নলুয়া, কান্দিগ্রাম, তুরুগবাঘ, খালপার, জালালনগর, কালাকোনা, এখলাছপুর এর রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। কয়েকটি গ্রামের ঘরবাড়িতেও পানি ঢুকে গেছে। সুরমার পানি অবিরত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধিপেলে নতুন নতুন এলাকা পস্নাবিত হবে।
আমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান কামরান হোসেন জানান, গত রোববার রাতের অবিরাম বৃষ্টিতে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আমুড়া ইউনিয়নের সুন্দিশাইল, ঘাগুয়া, শিকপুর ও শিলঘাট গ্রামের একাংশ পস্নাবিত হয়েছে। এরমধ্যে সুন্দিশাইল গ্রামের কয়েকটি ঘরে পানি ঢুকেছে। ৪-৫টি পরিবারকে শিগগিরই আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে হবে।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন জানান, গোলাপগঞ্জ উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের কুশিয়ারা ও সুরমা নদী তীরবর্তী কয়েকটি এলাকা পস্নাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫৭টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলায় একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।