প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

চৌদ্দগ্রামে কোটি টাকার ঋণের প্রলোভনে ১৩ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারক উধাও

প্রকাশ | ০৬ জুন ২০২৪, ০০:০০

চৌদ্দগ্রাম (কুমিলস্না) প্রতিনিধি
কুমিলস্নার চৌদ্দগ্রামে মনসুর হায়দার ভুঁইয়া স্বপন নামে এক পোলট্র্রি ব্যবসায়ীকে কোটি টাকার ঋণ পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১৩ লাখ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টাকা ফেরত চাওয়ায় উল্টো ওই ব্যবসায়ীকে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এমন ঘটনার প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মনসুর হায়দার ভুঁইয়া স্বপন। তিনি উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের সাঙ্গিশ্বর গ্রামের মৃত ইউসুফ ভুঁইয়ার ছেলে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মনসুর হায়দার ভুঁইয়া স্বপন উলেস্নখ করেন, পেশায় তিনি একজন পোলট্র্রি ব্যবসায়ী। ব্যবসা মন্দা যাওয়ায় বিভিন্ন এনজিও ও ব্যাংকের কাছে ঋণ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে পরিচয় হয় আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামের মফিজুর রহমান সরকারের ছেলে মহিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি নিজেকে সোনালী ব্যাংক চৌদ্দগ্রাম শাখার কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন। স্বপনকে এক কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রম্নতি দেন। ব্যাংক ঋণের বিপরীতে খরচ বাবদ ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানান। এতে রাজি হন মনসুর হায়দার ভুঁইয়া স্বপন। কাগজপত্র তৈরির কথা বলে মহিম উদ্দিন ধাপে ধাপে বিভিন্ন মাধ্যমে ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৩০০ টাকা হাতিয়ে নেন। ঋণের গ্যারান্টি সোনালী ব্যাংকের একটি চেক ও অলিখিত দু'টি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরও নেন। এর কিছুদিন পরে মহিম ব্যবসায়ী স্বপনের ইমোতে সোনালী ব্যাংকের একটি কাটাছেঁড়া চেকে এক কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছে মর্মে লিখিত একটি চেক পাঠান এবং বাকি আরও দুই লাখ টাকা চান। এরপর মহিম উদ্দিনের মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। সোনালী ব্যাংক চৌদ্দগ্রাম শাখায় যোগাযোগ করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, মহিম নামে কোনো ব্যক্তি এ শাখায় নেই এবং কোটি টাকার কোন ঋণও অনুমোদন হয়নি। এরপর থেকে মহিম উদ্দিনের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টো তার বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার ও খালি স্ট্যাম্পে টাকা পাওয়ার দাবি করে আদালতে মামলা করে হয়রানি করে আসছেন মহিম নামের ওই ব্যক্তি। ব্যবসায়ী আরও বলেন, প্রতারক মহিম উদ্দিনকে ধরতে আইন প্রয়োগকারী একাধিক সংস্থার কাছে যান এবং তার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বপনের চাচা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, স্ত্রী তাসলিমা বেগম, বোন নাজনিন আক্তার, প্রতিবেশী আজিম উদ্দিন ভুঁইয়া, ফরিদ উদ্দিন ও আবদুল কাইয়ুম ভুঁইয়া। এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক চৌদ্দগ্রাম শাখার ব্যবস্থাপক জহুর আহমেদ বলেন, 'মহিম উদ্দিন নামে আমাদের শাখায় কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী নেই। বিগত পাঁচ বছরে এ শাখা থেকে একসঙ্গে এক কোটি টাকার কোনো ঋণ অনুমোদন হয়নি।'