লাইনে দাঁড়িয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ধুলাসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনি ভোট দেন। এর আগে তিনি ওই কেন্দ্রে পৌঁছে ভোট দেওয়ার জন্য আধাঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন। এ সময় তার স্ত্রী মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রেখা ফাতেমাও ওই একই কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। প্রতিমন্ত্রী লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়ায় তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।
ধুলাসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্রের ভোটার শহিদুল ইসলাম জানান, 'এর আগের নির্বাচনগুলোতে আমাদের এলাকার যারা এমপি মন্ত্রী ছিলেন বা যারা উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা ছিলেন তারা এসেই লাইনে না দাঁড়িয়ে ভোট দিয়ে চলে গেছেন। কিন্তু আজ আমাদের মন্ত্রী সাধারণ মানুষের কাতারে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন। তিনি আমাদের লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন এর জন্য আমরা অনেকটা উচ্ছ্বসিত।'
একই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা জয়নাল আবেদিন জানান, মন্ত্রী সঙ্গে একই স্থানে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট দিয়েছি। তিনি এলাকায় ভোট দিতে এসেছেন এজন্যই আমরা অনেকটা খুশি।'
সকাল ৮টায় শুরু হয় পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। সকাল থেকে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে ভোটারের সংখ্যা। দুই উপজেলায় ভোটারের সংখ্যা দুই লাখ ৯২ হাজার ৩৩৮ জন। নির্বাচনে কলাপাড়া চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আর রাঙ্গাবালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে ২৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট, চারটির্ যাবের টিম, সাত পস্নাটুন বিজিবি, আটটি কোস্টগার্ডের টিম ও নৌবাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি কেন্দ্রে পাঁচজন পুলিশ সদস্য এবং ১০ জন আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়াও মাঠে পুলিশের স্টাইকিং ফোর্স ও স্টান্ডবাই টিমসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ টহলে রয়েছে। পটুয়াখালী সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খান আবি শাহনুর হক বলেন, সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণে মাঠে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।