তিন জেলায় ৪ জনের অপমৃতু্য
চবির শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে কলেজছাত্রের মৃতু্য
প্রকাশ | ০৬ জুন ২০২৪, ০০:০০
স্বদেশ ডেস্ক
চট্টগ্রামে ষোলশহরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক কলেজছাত্রের মৃতু্য হয়েছে। এ ছাড়াও পানিতে ডুবে, বিদু্যৎস্পৃষ্টে ও আত্মহত্যার ঘটনায় তিন জেলায় চারজনের মৃতু্য হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত খবর-
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রামের ষোলশহরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে ইরফান (১৭) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃতু্য হয়েছে। বুধবার নগরীর ২ নম্বর গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত শিক্ষার্থী ফটিকছড়ি উপজেলার সুন্দরপুর ইউপির মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের ছেলে। তিনি সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
রেলওয়ে থানার ওসি এস এম শহিদুল ইসলাম বলেন, 'তখন ছেলেটি কানে হেডফোন লাগিয়ে রেল লাইন দিয়ে হাঁটছিল। ধারণা করা হচ্ছে, হেডফোনে উচ্চ শব্দে গান শুনতে থাকার কারণে ট্রেন আসার খবর পাননি তিনি। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।'
চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, চাঁদপুর শহরের ব্যাংক কলোনি এলাকায় চিরকুট লিখে সালাউদ্দিন মিয়া (৪৫) নামে ব্যক্তির গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা এবং মতলব উত্তরে শাহাদাত হোসেন প্রধান (২৭) নামে যুবক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে বিদু্যৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতু্যবরণ করেছে।
মঙ্গলবার রাতে শহরের ব্যাংক কলোনিতে আনোয়ার হোসেন জেটের বাড়িতে সালাউদ্দিন আত্মহত্যা করে। তিনি সদর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন মিয়ার ছেলে।
অপর দিকে এদিন সন্ধ্যায় মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পশ্চিম নাউরী গ্রামে বিদু্যৎস্পৃষ্টে যুবক শাহাদাতের মৃতু্য ঘটে। তিনি মতলব উত্তর উপজেলার নাউরী গ্রামের প্রধান বাড়ির জালাল প্রধানের ছেলে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকরাম বলেন, সালাউদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের নিকট হস্তান্ত করা হবে।
মতলব উত্তর থানার ওসি আলমগীর হোসেন রনি বলেন, 'বিদু্যৎস্পৃষ্ট হয়ে শাহাদাত প্রধানের মৃতু্যর ঘটনায় একটি অপমৃতু্য মামলা হয়েছে। পরিবারের আবেদনের পরিপেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।'
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পানিতে ডুবে নিখোঁজ আমির হামজা (৭) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের বালুয়া গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে ও বালুয়া নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র।
স্থানীয়রা জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে মাদ্রাসার শিক্ষকসহ ছাত্ররা নিকটবর্তী বাঙ্গালি নদীতে গোসল করতে নামে। সবার সঙ্গে আমির হামজাও নদীতে গোসলে নেমে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। পরে বিশেষ ডুবুরির দল এসে অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত ৮টায় তার লাশ উদ্ধার করে। গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শামছুল আলম শাহ্ মৃতু্যর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি জানান, নওগাঁর নিয়ামতপুরে একটি পুকুর থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির (৪৭) ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পুকুর পাড়ের বাসিন্দা আশরাফ আলী পুকুরে একটি জামা ভাসতে দেখে হাত দিয়ে টানলে জামার সঙ্গে মরদেহ ভেসে আসে। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিয়ামতপুর থানার ওসি মাইদুল ইসলাম আরও জানান, ধারনা করা হচ্ছে পানিতে ডুবে প্রাণ হারাণ ওই ব্যক্তি। এখন পর্যন্ত পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মর্গে পাঠানো হবে।