'আর ভোট দিতে পারব কিনা জানি না'
প্রকাশ | ০৬ জুন ২০২৪, ০০:০০
ফরিদপুর প্রতিনিধি
আবেদা খাতুন। বয়স ৮২ থেকে ৮৫। ভ্যানে চড়ে ভোট দিতে এসেছেন বোয়ালমারির সহস্রাইল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে। পড়ন্ত বেলায় বোন আরজুয়ারা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে পছন্দের উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন।
খুশি মনে বাড়ি ফেরার পথে কথা হয় তাদের সঙ্গে। আবেদা জানান, তার বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত অনেক ভোট দেখেছেন, আজকের ভোট দেওয়াটা তার কাছে একটু আলাদা। কারণ হিসেবে বলেন, 'বয়স হয়েছে, আর ভোট দিতে পারবো কি না জানি না। নিরিবিলি শান্তিতে ভোট দিতে পারছি, আমার পরিবারের সবাই ভোট দিছে।'
সহস্রাইল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আবুল কালাম আজাদ জানান, বেলা দুইটা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৩৫ শতাংশ।
এর আগে দুপুরে স্থানীয় ছত্রকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিকে আসেন আরেক প্রবীন মেরিনা বেগম। এনআইডি হিসেব মতে তার বয়স ৭৫ হলেও প্রকৃত বয়স ৮০ কাছাকাছি। একইভাবে ভ্যানে চড়ে তিনিও এসেছেন ভোটকেন্দ্রে। বিধবা ভাতা পান তিনি। তার দুই ছেলে, বড়জন আনসার ব্যাটালিয়নের অফিসার। ভোট কেন্দ্রের আনসার সদস্যদের দেখিয়ে বলেন, 'আমার ছেলও এমন পোশাক পড়ে। এবারের মতো আরও বিশ-বাইশ বার ভোট দিছি।'
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা রামানন্দ পাল জানান, বোয়ালমারীতে ৭৮ ও আলফাডাঙ্গাতে ৪০ কেন্দ্রসহ দুটি উপজেলায় মোট ১১৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে আনসার ও পুলিশ সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয়র্ যাব পুলিশ, এপিবিএনসহ ২টি উপজেলায় চার পস্নাটুন বিজিবি মোতায়ান করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুই উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নের্তৃত্বে স্টাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করেন। বোয়ালমারী উপজেলা ৫ জন, আলফাডাঙ্গায ৯ জনসহ দুই উপজেলায় মোট ১৪ জন চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিয়েছে। মোট ভোটার তিন লাখ ছয় হাজার ৭৪৮ জন ভোটার রয়েছে।