ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ ও শেষ ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত

প্রকাশ | ০৬ জুন ২০২৪, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
বগুড়ার ধুনটে উপজেলা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের সারি -যাযাদি
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ও শেষ ধাপের ভোটগ্রহণ বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়। এ ধাপে দেশের ৫৮ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত- ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি জানান, বগুড়ার ধুনট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯০ কেন্দ্রেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মাত্র ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে। ভোট কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি বিজিবি ওর্ যাবকেও টহল দিতে দেখা গেছে। এ ছাড়া বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম ও বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী ধুনট সরকারি নইম উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রসহ বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক টিআইএম নুরুন্নবী তারিক (ঘোড়া), সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল সনি (আনারস) ও সহ-সভাপতি আব্দুল হাই খোকন (মোটর সাইকেল)। এ ছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন রিপন (তালা), ধুনট পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চপল মাহমুদ (টিউবওয়েল) ও সাবেক ছাত্র নেতা অমৃত কুমার লিটন (মাইক)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পপি রানী সাহা (কলস), সাধারণ সম্পাদক সুলতানা জাহান (সেলাই মেশিন), সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাজনীন নাহার (হাঁস), উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি সীমা আক্তার (প্রজাপতি) ও এলাঙ্গী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক রেবেকা সুলতানা (ফুটবল)। উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছেন দুই লাখ ৫৫ হাজার ৩২৪ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ২৬ হাজার ৬৩৪ জন এবং মহিলা ভোটার রয়েছে এক লাখ ২৮ হাজার ৬৮৭ জন। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে তিনজন। ধুনট থানার ওসি সৈকত হাসান বলেন, এ উপজেলার প্রতিটি ভোট কেন্দ্রেই পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সদস্যরা নিয়োজিত ছিলেন। কোন অপ্রিতীকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি। সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) আশিক খান জানান, উপজেলার ৯০টি কেন্দ্রেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দুই-একটি বিছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুধু দৌলতপুর ইউনিয়নের কুশলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতা-হাতির খবর পাওয়া গেছে। তবে প্রশাসনের ধাওয়া খেয়ে শান্ত হয়। এ দিকে ভোট কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা যায়, ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম হলেও, পুরুষ ভোটারের থেকে মহিলা ভোটার বেশি ছিল। এ উপজেলায় মোট ভোটার এক লাখ ৫২ হাজার ৪৭৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭৬ হাজার ২৭৩, নারী ভোটার ৭৬ হাজার ২০৪ ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন একজন। ৬৩টি কেন্দ্রের ৪৩৫টি বুথে ভোটাগ্রহণ হয়। গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানান, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় সকাল থেকে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে বেলা বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে বাড়ে ভোটারও। অনেক বুথের সামনে ভোটারদের লম্বা সারি দেখা যায়। গফরগাঁও উপজেলায় মোট কেন্দ্র রয়েছে ১১৯টি। আর ভোটার রয়েছেন তিন লাখ ৮৭ হাজার ৭৬ জন। এ উপজেলায় মোট ১৪ জন প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাত ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও'র তথ্য মতে, উপজেলায় তিনজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১৫ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১৬ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচনী এলাকার নিরাপত্তা রক্ষায় তিন পস্নাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে, যার দায়িত্বে রয়েছেন তিনজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। এ ছড়ার্ যাব, পুলিশ ও আনসার ভিডিপির স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করবে।