ধর্মপাশায় খাস কালেকশনে ইজারা দেওয়ায় বেড়েছে রাজস্ব

প্রকাশ | ০৫ জুন ২০২৪, ০০:০০

ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় বিগত বছরে সায়রাতভুক্ত নয় কিন্তু প্রস্তাবিত এমন কিছু সংখ্যক জলমহাল প্রতি বছর আবেদনের প্রেক্ষিতে এক বছরের জন্য খাস কালেকশনের মাধ্যমে নামমাত্র রাজস্ব আদায় হতো। জটিল পরিস্থিতিতে উলেস্নখযোগ্য দু-চারটি জলাশয় শুধুমাত্র আবেদনের প্রেক্ষিতে ইজারা না দিয়ে দরপত্রের মাধ্যমে ইজারা দেওয়া হয়। কিন্তু এ বছর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ১১টি জলাশয় খাস কালেকশনে ইজারা দেওয়ায় ব্যাপকহারে বেড়েছে রাজস্ব। গত বছরে ওই ১১টি জলাশয় থেকে খাস কালেকশনে রাজস্ব আদায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার স্থলে এ বছর এক বছরের মেয়াদে দরপত্রের মাধ্যম অংশগ্রহণকারী দরদাতাদের সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৩৬ লাখ ১৪ হাজার ২০০ টাকা। রাজস্ব বৃদ্ধির স্বার্থে  খাস কালেকশনে জলমহাল ইজারায় দরপত্র আহ্বান করায় প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে জলাশয়ের সঠিক মূল্য উঠে এসেছে। ফলে ব্যাপকহারে বেড়েছে সরকারি রাজস্ব। গত বছরে  আবেদনের প্রেক্ষিতে খাস কালেকশনের মাধ্যমে কুড়ি বিলের রাজস্ব আদায় ১৫ হাজার টাকার স্থলে এবছর খাসকালেকশনে দরপত্রের মাধ্যমে সর্বোচ্চ মূল্য ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা, নয়াবিল ২০ হাজার টাকার স্থলে দরপত্রের মাধ্যমে ৬ লাখ টাকা, ছাগডরা বিলে ১৮ হাজার টাকার স্থলে ৮ লাখ ১ হাজার টাকা, ঢর গাঙ (১) বিলে ১৯ হাজার টাকার স্থলে ৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকা, ঢর গাঙ (২) বিলে ১৫ হাজার টাকার স্থলে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ডহর নদী (২) বিলে ২০ হাজার টাকার স্থলে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, মিছার বিলে ১৪ হাজার টাকার স্থলে ১ লাখ ১১ হাজার টাকা, ঘোড়ামারার দাইড় বিলে ১৫ হাজার টাকার স্থলে ২ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা, লম্বা কুড়ির বিলে ১১ হাজার টাকার স্থলে ৭১ হাজার টাকা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, জলমহাল ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনয়ন ও রাজস্ব বৃদ্ধির স্বার্থে আবেদনের প্রেক্ষিতে খাসকালেকশনে না দিয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে সায়রাতভুক্ত নয় কিন্তু প্রস্তাবিত এমন জলমহালগুলো দরপত্রের মাধ্যমে খাসকালেকশনে দেওয়া হয়েছে এতে করে  বেড়েছে রাজস্ব।