দুমকিতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ জনের সাজা

প্রকাশ | ০৫ জুন ২০২৪, ০০:০০

দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর দুমকিতে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়া, উত্তেজনা ও গোলযোগ সৃষ্টির দায়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৮ কর্মী-সমর্থকের প্রত্যেককে ৭ দিনের সাজা দিয়েছেন নির্বাচনী দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল হাসান। গত রোববার রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচার বসিয়ে আটক ৮ কর্মী-সমর্থকের এ কারাদন্ডাদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সাতানী গ্রামের মৃত- আনোয়ার হোসেনের ছেলে শহীদুল ইসলাম (২০), বাহেরচর গ্রামের বজলুর রহমান মাঝির ছেলে সোহাগ (২৪), একই গ্রামের ইউসুব সিকদারের ছেলে রাকিব শিকদার (২২), আইয়ুব আলী মোলস্নার ছেলে রিয়াজ মোলস্না (২২), দুমকি গ্রামের আবুল কালামের ছেলে সাইদুল হক (২৫), সাতানী গ্রামের হাবিব হাংয়ের ছেলে ইমরান হাওলাদার (২৫), দুমকি গ্রামের আ. লতিফ মৃধার ছেলে হাবিবুর রহমান খোকন (৪৩), ঝাটরা গ্রামের মান্নান খানের ছেলে সায়েম খান (৩৪)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাতে আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের রূপাশিয়া গ্রামের তালুকদার পাড়ায় জনৈক সার্জেন্ট (অব.) ফজলুল হকের অসুস্থ শ্বশুরকে দেখতে যান কাপপিরিচ মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী কাওসার আমীন হাওলাদার। খবর পেয়ে মোটর সাইকেল মার্কার শতাধিক কর্মী-সমর্থক ওই বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নানা উস্কানিমূলক স্স্নোগান দেয়। এতে দুই প্রার্থীর কর্মী সমর্থকের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাওসার আমীন হাওলাদার ওই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে দুই পক্ষের উত্তেজিত কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি হয়। এ সময় নির্বাচনী দায়িত্বরত নির্বাহী মেজিস্ট্রেট জিয়াউল হাসান ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুইপক্ষের অন্ততঃ ১১ জনকে আটক করেন। পরে রাত সাড়ে ১১টায় ইউএনও কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচার বসিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা, গোলযোগ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে ৮ জনের প্রত্যেককে ৭ দিনের কারাদন্ডাদেশ দেন। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় ৩ কিশোর নয়ন গাজী (১৪), শাহাদত মৃধা (১৫) ও জায়েদ মৃধকে (১৪) মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্তদের ৩ জন কাপপিরিচ ও ৫ জন মোটর সাইকেল প্রতীকের কর্মী-সমর্থক বলে জানা গেছে। দুমকি থানার ওসি (তদন্ত) সফিউর রহমান বলেন, দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সোমবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।