বিদেশ পাঠানোর নামে প্রতারণার অভিযোগ

প্রকাশ | ০৫ জুন ২০২৪, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, রাজবাড়ী
রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের সিংগা গ্রামের যুবক আক্কাছ আলীকে ইরাক পাঠানোর কথা বলে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুইজনের বিরুদ্ধে মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইবু্যনাল আদালতে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী আক্কাছের মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে সোমবার মামলাটি করেন। মামলার আসামিরা হলেন- একই উপজেলার বরাট ইউনিয়নের হাউলি গ্রামের ইরাক প্রবাসী আইয়ুব সেখের স্ত্রী লাইলী বেগম এবং একই গ্রামের গেজন সরদারের ছেলে আফছার সরদার। ভুক্তভোগী আক্কাছ দুবাইতে কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আকলিমা বেগম জানান, তাদের পাশের গ্রামেই বাড়ি লাইলী বেগমের। লাইলীদের বাড়িতে নিয়মিতই আসা যাওয়া ছিল তার। তার ছেলে আক্কাছ আলী দীর্ঘদিন ধরে বেকার থাকায় লাইলী তাকে ভালো বেতনে ইরাক পাঠানোর প্রস্তাব দেন। এ জন্য ছয় লাখ টাকা লাগবে বলে জানান। যেহেতু লাইলীর স্বামী ইরাক থাকেন, এ জন্য তার কথায় আশ্বস্ত হয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাতে রাজী হন। এরপর বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এবং আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ধার-দেনা করে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর লাইলীকে ছয় লাখ টাকা দেন। ওই সময় আফসারও উপস্থিত ছিলেন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি লাইলী ও আফসার তার ছেলে আক্কাছকে ইরাকে পাঠানোর কথা বলে ঢাকা বিমানবন্দরে নিয়ে যান। কিন্তু তাকে ইরাকে না পাঠিয়ে দুবাইতে পাঠানো হয়। সেখানে কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তার ছেলে। সম্প্রতি তার কাছে আরও পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেছেন তারা। ছেলের জীবনের কথা ভেবে ৩১ মে লাইলীর কথা মত ট্রানজেকশন আইডিতে দুই দফায় ৪০ হাজার টাকা পাঠান। বর্তমানে তারা আক্কাছের জীবন নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন রয়েছেন। ঋণের টাকা কীভাবে শোধ করবেন, সে চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত লাইলী বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ছয় লাখ টাকা নয়। তিনি ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়েছেন। প্রথমে ইরাকে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু ইরাকের ভিসা ও বিমান বন্ধ থাকায় পাঠাতে পারেননি। যেকারণে দুবাই পাঠিয়েছেন। সেখানে আক্কাছকে থাকা খাওয়ার টাকা তিনি দিয়েছেন। আক্কাছকে কিছুদিনের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এরপর সবাই বসে যে সিদ্ধান্ত দেয়, তা তিনি মেনে নেবেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মাহবুব রহমান জানান, আদালতের বিচারক সাব্বির ফয়েজ মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।