আজকের যায়যায়দিন

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় প্রতিষ্ঠানটির দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ফের পিছিয়েছে।

সোমবার ঢাকার ১২তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আব্দুলস্নাহ আল মামুনের আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল।

তবে বিচারক ছুটিতে থাকায় এদিন রায় ঘোষণা করা হয়নি। পরে ভারপ্রাপ্ত বিচারক রায়ের নতুন তারিখ নির্ধারণ করবেন বলে জানান ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাহিমুল করিম আকন্দ।

গত বছরের ২৭ নভেম্বর এ মামলায় রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ২১ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়। এরপর চার দফা পিছিয়ে রায়ের জন্য সোমবার দিন ধার্য করা হয়। তবে এদিনও পঞ্চমবারের মতো রায়ের তারিখ পেছাল।

এ মামলার আসামিরা হলেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও প্রভাতি শাখার প্রধান জিনাত আক্তার।

এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দন্ডবিধি আইনের ৩০৬ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদন্ড হতে পারে।

এর আগে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। সেই আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলেও পরে মামলাটি ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১২ তে বদলি করা হয়। সেই আদালতেই বিচার কাজ শেষ হয়। মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষে ১৮ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালে ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় শিক্ষার্থী অরিত্রী। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।