শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

বকশীগঞ্জে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ২০ মণ ওজনের 'রাজা বাবু'

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
  ০৪ জুন ২০২৪, ০০:০০
জামালপুরের বকশীগঞ্জে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রফিক ও সুফিয়া দম্পতির 'রাজা বাবু' নামের ২০ মণ ওজনের ষাঁড় -যাযাদি

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে জামালপুরের বকশীগঞ্জে কোরবানির মাঠ কাঁপাবে ২০ মণ ওজনের রাজা বাবু। যতই দিন ঘনিয়ে আসছে ততই রাজা বাবুর হাঁকডাক বেড়েই চলছে। আগামী কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে রাজা বাবুকে।

কাঠমিস্ত্রি রফিক ও সুফিয়া দম্পতির তিন বছরের চেষ্টায় কোরবানির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েছে এই পশুটি।

জানা গেছে, জামালপুরের বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার পাখিমারা গ্রামে তিন বছর আগে নিজের ব্রাহমা জাতের গাভীর একটি ষাঁড় বাছুর কোরবানির জন্য লালন-পালন করেন কাঠমিস্ত্রি রফিকুল ইসলাম। সারাদিন কাজে ব্যস্ত থাকায় বাছুরটি সযত্নে বড় করেন তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম। তিলে তিলে বড় করা সেই বাছুরটির নাম দেওয়া হয় 'রাজা বাবু'। তিন বছর পর সেই বাছুরটি এখন সত্যিকারের রাজা বাবুতে পরিণত হয়েছে। সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাওয়ানো হয় রাজা বাবুকে।

রাজা বাবুকে প্রস্তুত করতে নিজের জমিতে ঘাসের চাষও করেছেন রফিকুল। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের পরামর্শে কাঁচা ঘাস, ভুসি, চালের খুদ খাওয়ানো হয় পশুটিকে। প্রতিদিন গোসল করানোসহ নিজের সন্তানের চেয়েও রাজা বাবুকে বেশি যত্ন করেন এই দম্পতি। দীর্ঘ তিন বছর পর রাজা বাবুর ওজন দাঁড়িয়েছে এবার ২০ মণে। আগামী কোরবানিতে রাজা বাবুর দাম হাঁকাচ্ছেন ১২ লাখ টাকা। রাজা বাবুকে কিনতে ইতোমধ্যে স্থানীয় পাইকাররা আসছেন পাখিমারা গ্রামে। তবে সন্তোষজনক দাম পেলেই গরুটি বিক্রির কথা জানিয়েছেন গরুটির মালিক রফিকুল ইসলাম। এজন্য দূর-দূরান্তের পাইকারদের পাখিমারা গ্রামে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

গ্রামবাসী জানান, বকশীগঞ্জ উপজেলায় রাজা বাবুর চেয়ে বড় কোরবানির জন্য বড় কোনো পশু নেই। রফিক-সুফিয়া দম্পতি যেভাবে গরুটিকে লালন-পালন করেছেন তা সত্যিই অনুকরণীয়। তাই দূর-দূরান্তের ক্রেতাদের আসার অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

গরুর মালিক রফিকুলের স্ত্রী সুফিয়া বেগম বলেন, 'আমি নিজের সন্তানের মতো রাজা বাবুকে বড় করে তুলেছি। নিজে না খেয়ে রাজা বাবুকে দেশীয় খাবার কিনে খাইয়েছি।' তবে রাজা বাবুকে বিক্রির কথা বলতেই আবেগাপস্নুত হয়ে পড়েন তিনি।

গরুর মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, 'আমি সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে গরুটিকে বড় করেছি। কোরবানির জন্য যেহেতু বিক্রি করা হবে, তাই কোনো ধরনের ইনজেকশন বা মোটা তাজাকরণের ওষুধ ব্যবহার করা হয়নি। নিয়মিত খাবার দেওয়াসহ পরিচর্যার কারণে রাজা বাবুর ওজন হয়েছে ২০ মণ।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে