মাধবপুরে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

প্রকাশ | ০৩ জুন ২০২৪, ০০:০০

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বিশেষ করে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগের প্রস্তাবিত তালিকা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে। চেয়ারম্যান পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. শাহজাহান ও সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী এ অভিযোগ তুলেছেন। তাদের ভাষ্য নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পছন্দের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের পাঁয়তারা চলছে। পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ঘটনায় প্রার্থী, ভোটার ও সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। প্রশাসন বলছে কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৫ জুন মাধবপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এ উপলক্ষে ২ হাজার ১৬৬ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ৯৩, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ৬৯১ এবং পোলিং কর্মকর্তা ১ হাজার ৩৮২। প্রস্তাবিত তালিকার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ৪ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। তাদের তালিকা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রার্থীদের পাশাপাশি সমর্থকদের হাতেও এসেছে। এ নিয়ে সরব হয়ে উঠেছেন চেয়ারম্যান পদের প্রধান দুই প্রার্থী। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দুইজনসহ প্রার্থী ৩ জন। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অভিযোগ তুলে জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. শাহজাহান ও সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী বিভিন্ন সময় চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান শাহজাহান ৩ বার এবং জাকির একবার দায়িত্ব পালন করেন। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার তালিকা নিয়ে শাহজাহান বলেন, প্রশাসন কারও চাপে এটি করেছে। এমন হলে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু হবে না। জাকির বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি যেসব প্রতিষ্ঠানের (ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের তালিকায় রয়েছেন। এতে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু হবে না। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) প্রিয়াংকা পাল বলেন, আইন এবং বিধির আলোকেই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। ৩ জুনের মধ্যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।