ভাঙ্গুড়ায় প্রয়োজন ছাড়াই চলছে খাল খনন

প্রকাশ | ০৩ জুন ২০২৪, ০০:০০

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় অপ্রয়োজনীয় খাল খনন করে সরকারি ১০ লাখ টাকা অপচয়ের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের পুঁইবিল গ্রামে কালিকাদহের জোলা নামে এই খাল খনন করছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। বিএডিসির এমন খামখেয়ালিপনার কারণে এলাকার কৃষকরা সরকারি টাকা অপচয় রোধে এই খাল খনন বন্ধে গত রোববার উপজেলা বিএডিসি কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছেন। কৃষকরা এই খাল ভরাট করে ফসল পরিবহণের উপযোগী করতে দাবি জানিয়ে আসছেন। জানা যায়, ভাঙ্গুড়া উপজেলার গুমানি নদী থেকে কালিকাদহের জোলা খাল দিয়ে ভাঙ্গুড়া সদর ও দিলপাশার ইউনিয়নের পুঁইবিল, কৈডাঙ্গা ও বাওনঞ্জান মাঠে বন্যার পানি প্রবেশ করত এবং নিষ্কাশন হতো। কৃষকরা ফসল চাষাবাদে এই খালের পানি ব্যবহার করতেন। কিন্তু আশির দশকের শুরুতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী থেকে রাজশাহীর চারঘাট পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এই বাঁধ নির্মাণের ফলে সে সময় গুমানি নদীর মুখে কালিকাদহের জোলা খাল ভরাট করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে এই খালের এক কিলোমিটার উত্তরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে স্স্নুইস গেট ও মাঠের মধ্যে পানি ঢোকার জন্য নতুন খাল নির্মাণ করা হয়। এই স্স্নুইস গেট দিয়ে এই অঞ্চলে বন্যার পানি ঢোকে ও নিষ্কাশন হয়। এতে খালটি অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে কৃষকরা এই খাল ভরাট করে ফসল পরিবহণের উপযোগী করার দাবি জানিয়ে আসছেন। গত বুধবার সরেজমিন দেখা যায়, কালিকাদহের জোলা খালের পশ্চিম পাশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কারণে পানি প্রবেশ করে না। খালের পূর্বপাশে বাওনঞ্জান খাল বর্ষা মৌসুম ছাড়া অন্য মৌসুমে পানিশূন্য থাকে। ফলে খালটি ফসল চাষাবাদের সময় পানিশূন্য থাকায় কোনো কাজে আসে না কৃষকের। এরপরও জেলা বিএডিসি অফিসের উদ্যোগে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে পাবনার ঠিকাদার আব্দুল খালেক নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে এই অপ্রয়োজনীয় খালটি খনন করা হচ্ছে। ৮০০ মিটার দৈর্ঘ্য এই খালের এক-চতুর্থাংশ খনন কাজ এরই মধ্যে শেষ করেছে ঠিকাদার।