নেছারাবাদে মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশ | ০৩ জুন ২০২৪, ০০:০০

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
পিরোজপুরের নেছারাবাদের একটি মসজিদের নামে সরকারি বরাদ্দের টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে দৈহারী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলামিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে। সরেজমিন জানা যায়, উপজেলার দৈহারী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁটাদৈহারী গ্রামে অবস্থিত জামে মসজিদের নামে ২০২১-২২ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠোমো রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন প্রকল্পে মসজিদ সংস্কার বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হয় এক লাখ টাকা। প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০ হাজার টাকা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলামিন হাওলাদার উত্তোলন করলেও নানা অজুহাতে ও ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ স্থানীয়দের। প্রকল্পের টাকা বর্তমান ইউপি সদস্য আলামিন হাওলাদার মসজিদ কমিটি কিংবা কোনো মুসলিস্নকে না জানিয়ে নিজেই তুলে নেন। এ সময় মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার বাচ্চু মিয়ার কাছ থেকে অফিস খরচ বাবদ আরও পাঁচ হাজার টাকা অতিরিক্ত নেন। স্থানীয় মুসলিস্নরা জানান, ইউপি সদস্য আলামিন হাওলাদার জেলা পরিষদের মসজিদে বরাদ্দকৃত সরকারি টাকা কমিটিতে জমা না দিয়ে আত্মসাতের পাঁয়তারা করছেন। তিনি একাধিকবার উত্তোলনকৃত টাকা দিয়ে কাজ করার কথা বলেও কাজ করছেন না। এ বিষয়ে কাটাদৈহারী জামে মসজিদের তৎকালীন সভাপতি ও সাবেক মেম্বার মনিরুজ্জামান মনির বলেন, মসজিদ উন্নয়ন ও সংস্কার বাবদ এক লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছিলেন ইউপি সদস্য আল আমিন হাওলাদার। প্রাথমিক কাজ সমাপ্ত করে বিল জমা দিলে পরবর্তী ৫০ হাজার টাকা উপজেলা পরিষদ দিয়ে দেয়। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কাজ শুরু করেননি তিনি। তবে অভিযুক্ত ইউপির সদস্য আলামিন হাওলাদার বলেন, 'জেলা পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত ৫০ হাজার টাকা আমার কাছে আছে। এ মাসেই কাজ শুরু করে দেব। এই টাকা আমি এনেছি মসজিদ কমিটির কাছ থেকে। কখনোই টাকা জমা দেব না।' কাটাদৈহারী জামে মসজিদের সভাপতি ইমাম হাসান বলেন, 'ইউপি মেম্বার আমাদের মসজিদ উন্নয়ন ও নির্মাণ প্রকল্পের কথা বলে ৫০ হাজার টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন। তৎকালীন সময় আমি সভাপতি ছিলাম না। জেলা পরিষদ কর্তৃক বরাদ্দাকৃত টাকার কাজ একাধিকবার শুরু করার কথা বলেও অদৃশ্য কারণে করছে না। এমনকি ওই টাকা কমিটির কাছেও হস্তান্তর করছে না।' অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জোহারুল ইসলাম জানান, সরকারি বরাদ্দ টাকা আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই। তদন্ত করে দেখা হবে। এসব বিষয়ে জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাকারিয়া খান স্বপন বলেন, 'প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎসহ সব অভিযোগের বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নেব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অর্থ ফেরতসহ তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'