পানিতে ডুবে ও বিদু্যৎস্পৃষ্টে তিনজনের প্রাণহানি

প্রকাশ | ০৩ জুন ২০২৪, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
মেহেরপুরে পানিতে ডুবে এক শিক্ষার্থী ও মৌলভীবাজারের জুড়ীতে নদীতে ডুবে বৃদ্ধার মৃতু্য হয়েছে। এ ছাড়া নেত্রকোনার পূর্বধলায় পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বিদু্যৎস্পৃষ্ট হয়ে এক শ্রমিকের মৃতু্য হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত- মেহেরপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুরে গড় পুকুরে পানিতে ডুবে তৌফিক হোসেন নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃতু্য হয়েছে। রোববার সকাল ১১টায় মেহেরপুর গড়পুকুরে সহপাঠীদের সঙ্গে গোসল করার সময় এ ঘটনা ঘটে। তৌফিক মেহেরপুর পৌরসভার ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের নতুনপাড়ার মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে ও মেহেরপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। স্থানীয়রা জানায়, সকালে বন্ধুদের সঙ্গে মেহেরপুর গড়পুকুরে গোসল করতে এসে সে নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয়দের নিয়ে মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে গেলে চিকিৎসক শিশুটি মৃত ঘোষণা করেন। জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি জানান, মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার জুড়ী নদী থেকে বদরুন্নেসা (৬৫) নামে এক বৃদ্ধা মহিলার ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের বাঙ্গার পার এলাকার মৃত উস্তার আলীর স্ত্রী। তিনি তার বাবার বাড়ি উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের পাতিলাসাঙ্গন গ্রামের আত্তর আলীর বাড়ি থেকে সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন। রোববার সকালে উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের কাশিনগর এলাকায় জুড়ী নদীতে ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, এক মহিলার লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে সহকারী পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) দীপঙ্কর ঘোষ ও জুড়ী থানার ওসি এসএম মাইন উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করেন। ইউপি সদস্য সানাউল ইসলাম চৌধুরী শাওন জানান, সকালে বাড়ির সামনে নদীতে ওই মহিলার ভাসমান লাশ পান। পরে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধার করার সময় নদীর পাড়ে পড়ে থাকা একটি চটের ব্যাগ ও একটি লাঠি পেয়েছেন। ব্যাগের মধ্যে কিছু কাপড়-চোপড়ও রয়েছে। এ বিষয়ে জুড়ী থানার ওসি এসএম মাইন উদ্দিন বলেন, ওই মহিলার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পূর্বধলা (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোনার পূর্বধলায় ঘুর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত বিদু্যতের লাইনে কাজ করতে গিয়ে বিদু্যৎস্পৃষ্ট হয়ে মানিক শিকদার (৩০) নামে বিদু্যতের এক লাইন শ্রমিকের মৃতু্য হয়েছে। গত শনিবার বিকালে উপজেলার হোগলা ইউনিয়নের গোপীনাথখিলা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার শিকার মানিক নেত্রকোনা জেলা সদরের চলিস্নশা বাজার এলাকার আবুল কাসেমের ছেলে। তিনি নেত্রকোনার পলস্নীবিদু্যৎ সমিতির পূর্বধলা জোনাল অফিসের আওতাধীন হোগলা অভিযোগ কেন্দ্রের লাইন শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পলস্নীবিদু্যতের পূর্বধলা জোনাল অফিসের ডিজিএম জিলস্নুর রহমান জানান, মানিক শিকদার প্রায় তিন বছর যাবৎ এই জোনাল অফিসের আওতায় হোগলা অভিযোগ কেন্দ্রে লাইন শ্রমিকের কাজ করছিলেন। গত শনিবার ঝড়ে বিধ্বস্থ লাইনে কাজ করতে গেলে তিনি বিদু্যৎস্পৃষ্ট হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে দ্রম্নত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃতু্য হয়। পূর্বধলা থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম জানান, এ ব্যপারে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ না হলেও নেত্রকোনা হাসপাতালে সুরতহাল রিপোর্ট করে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।