আজকের যায়যায়দিন

সিলেটের কানাইঘাটে বন্যাপরিস্থিতির মধ্যেও আগামী ৫ জুন কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত বুধবার উজান থেকে নেমে আসা তীব্র পাহাড়ি ঢলে কানাইঘাট উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও বেশিরভাগ নিচু এলাকার রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি এখনো বন্যার পানিতে তলিয়ে রয়েছে। অনেক এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। নিম্নাঞ্চলের হাজারো মানুষ এখনো পানিবন্দি।

বন্যাপরিস্থিতির মধ্যে আগামী ৫ জুন কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কি না এ নিয়ে ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিলেও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ৫ জুন নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারি রিটার্নিং অফিসার ফারজানা নাসরিন জানিয়েছেন।

নির্বাচন নিয়ে ইউএনও ফারজানা নাসরিন জানান, আকস্মিক ঢলের কারণে বন্যাপরিস্থিতি দেখা দিলেও তা এখন অনেক উন্নতির দিকে। নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৮১টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসব ভোট কেন্দ্রের অনেক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেলেও ২টি ভোট কেন্দ্র ব্যতীত বাকি ৭৯টি ভোট গ্রহণের উপযোগী পুরোপুরিভাবে রয়েছে। বন্যা কবলিত নিম্ন্নাঞ্চল এলাকার পানি ২-১ দিনের মধ্যে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি জানান।

নির্বাচনে প্রতীক পাওয়ার পর থেকে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা কয়েক দিনের দাবদাহ ও বিগত ৪ দিনের টানা বৃষ্টিপাতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। এ কারণে প্রার্থীরা ঠিকমতো নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারেননি।

নাগরপুরে ধর্মীয় সম্প্রীতির অমীয় নিদর্শন / একই বাড়ির আঙিনায় নামাজ ও পূজা!

তবে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার নিম্ন্নাঞ্চলের অনেক গ্রামীণ রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে এখনো তলিয়ে রয়েছে। ভোটকেন্দ্রগুলো ভোটের উপযোগী হলেও বন্যার পানিতে ব্যাপক কাদা থাকার কারণে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ৫ জুনের নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে ভোট নিয়ে আগ্রহ থাকলেও বন্যাপরিস্থিতি বিরাজ করায় ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি অনেকটা কমে যাবে বলে ধারণা করছেন সচেতন মহল।