শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

পলিথিনে তরমুজ চাষে সফল রাজারহাটের চাষি

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
  ০১ জুন ২০২৪, ০০:০০
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে উঁচু জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করা হয়েছে বেবি তরমুজ -যাযাদি

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পলিথিন দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে উঁচু জমিতে গ্রীষ্মকালীন বেবি তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন লাভলী বেগম। মাত্র তিন মাসের মধ্যে ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে দেড় লাখ টাকা আয় করতে পেরে খুশি তিনি।

জানা গেছে, উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মীরেরবাড়ী এলাকার রাজমিস্ত্রি শফিকুল ইসলাম স্বপনের স্ত্রী লাভলী বেগম নিজেই পরিবেশবান্ধব পলিথিন দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে উঁচু জমিতে গ্রীষ্মকালীন বেবি তরমুজ চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।

লাভলী বেগম জানান, স্বল্প সময়ে মালচিং পদ্ধতিতে সুস্বাদু তরমুজ চাষে আরডিআরএস বাংলাদেশে নামের একটি বেসরকারি সংস্থা আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছে। তাদের কাছে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ নিয়ে এ-ই প্রথম এলাকায় বেবি তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ হই। জমি তৈরি, সার ও বীজ কেনায় আরডিআরএস থেকে তিনি ১৫ হাজার টাকা সহায়তা পান। এরপর ফেন্সিং তৈরি করতে তার নিজের খরচ হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে তিনি তরমুজ চাষ করে সাফল্যের মুখ দেখেছেন। প্রায় তিন মাসের মধ্যে এক হাজারের ওপর তরমুজ গাছে বেড়ে উঠছে।

পরিবেশবান্ধব পলিথিন দিয়ে বেবি তরমুজ চাষে সাফল্য পাওয়ায় অনেকেই তার ক্ষেত পরিদর্শন করতে আসেন। তারা চাষের কায়দা কানুন জেনে নিজেরাও চাষে আগ্রোহী হচ্ছেন।

পরিদর্শনে আসা চাষি মালতী রানি জানান, 'আমি এখানে আসলাম, দেখলাম আবাদটা সুন্দর। পরে লাভলী দিদির কাছে শুনলাম মালচিং পলিথিন দিয়ে দিদি সেটা আবাদ করেছে। এখন আমারও ইচ্ছা হচ্ছে, আমিও সেরকমভাবে আবাদ করব। আমার বাড়ির আশপাশে যে জায়গা আছে সেখানে চাষ করব।'

লাভলী বেগমের প্রতিবেশী হাজেরা খাতুন জানান, 'আমাদের এলাকায় মানুষ সবসময় সবজি চাষ করেন। কখনো কাউকে তরমুজ চাষ করতে দেখিনি। লাভলী আপা তরমুজ চাষ করেছে শুনে দেখতে এসেছি। এসে অবাক হয়ে গেছি। সত্যি সত্যি আপা অসাধ্য সাধন করেছে। মেয়েকে নিয়ে তিনি যে কষ্ট করে তরমুজ চাষ করেছেন সেগুলো বড় হওয়ার পর তা দেখে তার সঙ্গে সঙ্গে আমরাও খুশি হয়েছি।'

রাজারহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুন্নাহার সাথী জানান, 'বর্তমানে উচ্চমূল্য ফসলের মধ্যে তরমুজ একটি অন্যতম ফসল। তরমুজ মূলত চরাঞ্চলের ফসল। কুড়িগ্রামে প্রায় সাড়ে ৪শত চরাঞ্চল রয়েছে। চরগুলোতেও এই ফসলটি আমরা সম্প্রসারণ করতে পারি। কৃষকদের চাষাবাদ প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হলে ব্যাপকভাবে এর সম্প্রসারণ ঘটাতে পারি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে