শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহার চায় শ্রমিক ফেডারেশন

যাযাদি রিপোর্ট
  ৩১ মে ২০২৪, ০০:০০
বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহার চায় শ্রমিক ফেডারেশন

আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির শুল্ক ও অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানান বিড়ি শ্রমিকরা। মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালে এনবিআর ঘেরাও করেন শ্রমিকরা। মানববন্ধন শেষে এনবিআরের চেয়ারম্যান বরাবর সাত দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিক নেতারা।

শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো- বিড়িকে কুটির শিল্প ঘোষণা করা, অবৈধ বিড়ি তৈরির কারখানা বন্ধ করা এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর মতো বহুজাতিক কোম্পানির নিম্নস্তরের ১০ শলাকার প্রতি প্যাকেট সিগারেটের মূল্য ৪৫ থেকে ৬৫ টাকা বৃদ্ধি করা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিড়ি শিল্প দেশের প্রাচীন শ্রমঘন একটি শিল্প। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বিকশিত হয়েছিল এই শিল্প। তিনি এই শ্রমঘন শিল্পটি শুল্ক মুক্ত ঘোষণা করেন। বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ২০ লাখ হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, শারীরিক বিকলাঙ্গ শ্রমিক বিড়ি কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। বিড়ি শিল্প রক্ষা এবং শ্রমিকদের দুর্দশা লাঘবে বিড়ির শুল্ক এবং অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করার দাবি জানাচ্ছি।

বক্তারা আরও বলেন, বর্তমানে দেশে নিম্নস্তরের সিগারেট ভোক্তা ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ। এসব নিম্নস্তরের সিগারেট ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির। তারা এ দেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। সুতরাং দেশীয় বিড়ি শিল্প রক্ষায় বহুজাতিক কোম্পানির নিম্নস্তরের ১০ শলাকার প্রতি প্যাকেট সিগারেটের মূল্য ৪৫ থেকে ৬৫ টাকা বৃদ্ধি করা হলে আরও ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরিত হবে বলে আশা করছি।

এছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মতো সরকার কর্তৃক শ্রমিকদের সব সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি বিড়িকে কুটির শিল্প ঘোষণার দাবি করেন শ্রমিকরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে