দুর্গাপুরে ফসলি জমি ধ্বংস করে বালু বিক্রি, প্রশাসনের অভিযান

গ্রামীণ সড়কে ঢুকতেই মাটিভর্তি-খালি ট্রাক্টরের বেশ আনাগোনা। কখনো চোখে পড়ে বালুভর্তি ট্রাক। সেসব ট্রাকই সন্ধান দেয় কোথা থেকে আনা হচ্ছে বালু। এ ঘটনায় বুধবার বিকালে অভিযানে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান। নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে ফসলি জমিতে ভেকু বাসিয়ে বিশাল গর্ত করে দিন-রাত তোলা হয় বালু। সেগুলো ডাম্প ট্রাক ও সড়কে নিষিদ্ধ ট্রাক্টর দিয়ে বিভিন্ন স্থানে পরিবহণ করা হচ্ছে। এতে কৃষিজমির পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ এবং পাকা রাস্তা। সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঠাকুরবাড়ি কান্দা এলাকায় ফসলি জমি থেকে বালু তুলে দেদার বিক্রি করছিল একটি মহল। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে দু'টি ট্রাক্টর জব্দ করেন ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়াও প্রায় ১০টির মতো ট্রাক্টরের চাকার হাওয়া ছেড়ে দেওয়া হয়। জানা যায়, আইনি জটিলতায় গত ১৪ এপ্রিলের পর থেকেই পাঁচটি বালু মহাল বন্ধ রয়েছে। এই বালু মহাল ঘিরে হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরেই। তবে বালু মহাল বন্ধ হওয়া যাওয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে লোকজন। গত কয়েকদিন ধরেই অধিক মূল্যে পাওয়ার আশায় কৃষি জমি ধ্বংস করে ভেকু দিয়ে গভীর গর্ত করে বালু তোলা হচ্ছে। এ যেন বালু বিক্রির হিড়িক পড়েছে। এতে যেমন ফসল জমি নষ্ট হচ্ছে, তেমনি ঝুঁকিতে পড়ছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট। এর আগেও গত ২৫ মে শিমুলতলী এলাকায় ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলনের অপরাধে এক ব্যক্তিকে একলাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, 'অভিযানে আমরা মালিক কাউকে পাইনি। দু'টি ট্রাক্টর জব্দ করেছি। মালিক পক্ষের খোঁজ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'