নির্বাচনে আহত ইমতিয়াজের কিডনি ড্যামেজ

হাটহাজারীতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ | ৩০ মে ২০২৪, ০০:০০

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
সদ্য সমাপ্ত হওয়া চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নস্থ চারিয়া বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ইমতিয়াজুল আলম প্র. জনির (৩৩) দুটি কিডনি ড্যামেজ হয়ে গেছে। বর্তমানে তিনি চমেক হাসপাতালে মৃতু্যর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এ ঘটনায় আহতের পিতা শাহ আলম (৬৮) বাদী হয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোক্তার বেগম মুক্তাকে (৪০) প্রধান আসামি করে গত সোমবার রাতে হাটহাজারী মডেল থানায় মামলা করেছেন, যার নং- ৩৭। মামলার পর আসামিরা পলাতক আছেন। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- মোহাম্মদ হান্নান (৪২), আব্দুর রহিম (৪৫), জসিম উদ্দীন সিকদার (৪২), মো. সেলিম (৩৮), তাজুল ইসলাম (৩০), মো. মঞ্জু (৩০), মো. সাদ্দাম (৩৫), সাইফুল ইসলাম (৩২)। মামলা সূত্রে জানা গেছে, জনি তার মামি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাঁস প্রতীকের শারমিন ইকবালের পক্ষে নির্বাচনী কাজ করছিলেন। বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে অপর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোক্তার বেগম মুক্তা আহতকে লক্ষ্য করে হাঁস প্রতীক নিয়ে কটূক্তি করলে জনি প্রতিবাদ জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান আসামি তার গালে থাপ্পর মারেন। অন্যদিকে প্রধান আসামির বড় ভাই দুই নম্বর আসামি জনির মাথায় একটি লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করেন। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় বাকি আসামিরা লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন জনিকে। এক পর্যায়ে প্রধান আসামির নির্দেশে ৪নং আসামি ইট দিয়ে জনির মাথায় আঘাত করলে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পরে আসামিরা আবারো তাকে নির্মমভাবে মারধর করে। এসময় প্রধান আসামি আহতের কোমরে সজোরে কয়েকটি লাথি মেরে সদলবলে ওই স্থান ত্যাগ করেন। পরে স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স নিয়ে যায়। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ডাক্তার তাকে চমেকে রেফার করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানা যায় আহতের দুটি কিডনি ড্যামেজ হয়ে গেছে। বর্তমানে ডায়ালাইসিসসহ অন্যান্য চিকিৎসা দেওয়া হলেও আহতের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এদিকে জানতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তার মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফয়সাল বলেন, 'মঙ্গলবার মামলার কপি পেয়েছি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তারা পলাতক রয়েছেন।' মামলার সত্যতা স্বীকার করেন অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামন।