শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১

সালথায় প্রস্তুত সাড়ে ১০ হাজার কোরবানির পশু

আবু নাসের হুসাইন, সালথা (ফরিদপুর)
  ৩০ মে ২০২৪, ০০:০০
সালথায় প্রস্তুত সাড়ে ১০ হাজার কোরবানির পশু

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পুরোদমে কোরবানির পশুর যত্ন নিচ্ছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার খামারিরা। ঈদ সামনে রেখে দেশীয় পদ্ধতিতে চলছে পশু মোটাতাজাকরণ। এবার চাহিদা মতো সাড়ে ১০ হাজার কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পরও বিভিন্ন এলাকার খামারিরা ও বিভিন্ন কৃষি পরিবার তারা গরু ও ছাগল প্রস্তুত করছেন কোরবানির জন্য।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ১০ হাজার ২৯১ গরু ও ছাগল। সেখানে ১০ হাজার ৪৫২টি গরু ও ছাগল কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে। এর মধ্যে গরু এক হাজার ৪৫৫ ও ছাগল আট হাজার ৯৯৭টি।

উপজেলার রায়েরচর গ্রামের গরু খামারি সাহাদৎ হোসেন বলেন, চার বছর ধরে কাঁচা ঘাসসহ প্রাকৃতিক খাদ্য খাওয়াইয়ে গরু লালনপালন করছেন। এ বছর খামারে ৩৭টি গরু আছে। এর মধ্যে ৬-৭ ষাঁড় গরু কোরবানির জন্য বিক্রি করা হবে। আশা করছেন লাভবান হবেন।

আজলপুটি গ্রামের গরু খামারি আব্দুলস্নাহ মাতুব্বর বলেন, 'তিন বছর আগে আমার পালনকৃত গাভী থেকে একটা ব্রাহামা জাতের বাছুর জন্ম হয়। গত তিন বছর ধরে তাকে লালন-পালন করে এবার কোরবানিতে বিক্রির উপযোগী করা হয়েছে। কাঁচা ঘাস ও শুকনা খড় খেয়ে ষাঁড়টি বেড়ে উঠেছে। এ বছর সালথা উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু এটি। এর ওজন হবে আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ মণ। দাম চাচ্ছি ১৫ লাখ। টার্গেট মতো দাম হলে বিক্রি করব।'

লক্ষনদিয়া গ্রামের এজাজ নামে আরেক খামারি জানান, গত বছরের তুলনায় এবার খামারে গরু তৈরি করতে খরচ অনেক বেশি। তারপরও কোরবানির ঈদে গরুর দাম ভালো পাওয়ার আশায় খামারিরা গরু প্রস্তুত করছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্র্রসারণ কর্মকর্তা ডা. নাহিদুল ইসলাম বলেন, 'এ বছর কোরবানিতে চাহিদার থেকে বেশি পশু প্রস্তুত আছে। গরু ও ছাগলগুলো স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পালন হচ্ছে। আমরা খামারসহ গেরস্তদের পশুর প্রতি খোঁজখবর নিচ্ছি এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে আসছি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে