শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১

গোয়াইনঘাটে আকস্মিক বন্যা, প্রস্তুত আশ্রয়কেন্দ্র

গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি
  ৩০ মে ২০২৪, ০০:০০
সিলেটের গোয়াইনঘাটে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় পস্নাবিত হাওড় ও নিম্নাঞ্চল -যাযাদি

অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের হাওড় এবং নিম্নাঞ্চল পস্নাবিত হয়েছে। সারিঘাট-গোয়াইনঘাট সড়কের দুটি পয়েন্টে যথাক্রমে- গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং সড়কের শিমুলতলা পয়েন্ট পস্নাবিত হয়েছে। হাওড়াঞ্চলের বাড়িঘরের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।

উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়ন, লেঙ্গুড়া, ডৌবাড়ি, নন্দীরগাঁও, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাঁও, পশ্চিম জাফলং, মধ্য জাফলংয়ে পস্নাবনের পরিমাণ বেশি হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা ভলান্টিয়ারসহ আকস্মিক বন্যাজনিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত আছেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুর ১২টায় রিডিং অনুযায়ী গোয়াইনঘাট ব্রিজ পয়েন্টে পানির লেভেল ১০.১১ মিটার (বন্যাসীমা: ১০:৮২) এবং সারিঘাট পয়েন্টে পানির লেভেল ১২.৮৮ ( বিপদসীমা: ১২.৩৫), যা বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।

গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং সেলের অফিসারসহ জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বন্যাদুর্গত ও ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা সরেজমিন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। যেসব এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ ও পস্নাবিত হতে পারে, সেসব এলাকার ঘরবাড়ি, বাজার ও দোকান থেকে জানমাল নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য স্থানীয়দের সতর্ক করা হচ্ছে। উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে মোট ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও পস্নাবণ প্রবণ এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে জনগণকে দ্রম্নত অবস্থান নিতে মাইকিং করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট ইউএনও তৌহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে পানি বাড়ছে। উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং সেলের অফিসাররা (পিআইও, কৃষি অফিসার, মৎস্য অফিসার, প্রাণিসম্পদ অফিসার)সহ জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বন্যাদুর্গত ও ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা জনপ্রতিনিধিসহ সরেজমিন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। মানুষের জানমাল নিরাপত্তায় ১৩টি ইউনিয়নে ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে