নওগাঁর মান্দায় গোপনে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিন বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত রোববার এলাকাবাসীর পক্ষে জিন্নাতুন নেছা নামে একজন মহিলা ইউপি সদস্য বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর মান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের সময় ওই স্থানে থাকা পুরাতন ভবনটি ভাঙা হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের সংকট নিরসনের জন্য বিদ্যালয়ে ওয়াশ বস্নকের দক্ষিণ পাশে ঢেউটিনের বেড়া ও ছাউনি দিয়ে পাঠদানের জন্য তিনটি শ্রেণিকক্ষ তৈরি করা হয়। আনুমানিক তিন থেকে চার মাস আগে রুম তিনটি ভেঙে সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নিজ স্বেচ্ছাচারিতায় ও অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার একজন ব্যবসায়ী মামুন ওরফে মামুন টেপার কাছে ১৫০ পিস টিন বিক্রি করা হয়, যা সরকারি নীতি বহির্ভূত।
এ ব্যাপারে মান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরুচি রানী হাওলাদার বলেন, গোপনে টিন বিক্রির বিষয়ে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তার দাবি, বিদ্যালয়ের দু'জন সহকারী শিক্ষকের মতবিরোধ এবং একজন দাতা সদস্যকে অপমান-অপদস্থ করার বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য একটি কুচক্রী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গোপনে টিন বিক্রির এসব প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এছাড়াও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এসব মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে, যা সঠিক নয়।
মান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ইউসুফ আলী মিঞা (শামীম) বলেন, নিলামের মাধ্যমে পরিত্যক্ত অস্থায়ী টিনশেড ঘরের টিন বিক্রির জন্য রেজুলেশন করা আছে। অথচ বিদ্যালয়ের দু'জন সহকারী শিক্ষকের মতবিরোধের কারণে ব্যক্তি আক্রোশ থেকে গোপনে টিন বিক্রির এসব প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। মান্দা উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি মামুনুর রশিদ বলেন, সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে গোপনে বিদ্যালয়ের টিন বিক্রি মোটেও কাম্য নয়। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
মান্দা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাসার শামসুজ্জামান বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছেন। তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।