ডিমলায় কর্মসৃজন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশ | ২৭ মে ২০২৪, ০০:০০

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
নীলফামারীর ডিমলায় অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) আওতায় কাজের সুযোগ পায় অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠী। রাস্তার ক্ষুদ্র সংস্কার, কবরস্থান, শ্মশান ঘাটে মাটি ভরাট করা, ঝোপঝাড় পরিষ্কারের কাজ করে থাকেন এই কর্মসূচির আওতাভুক্ত সুবিধাভোগী দরিদ্র জনগোষ্ঠীর লোকজন। তবে এবার উপজেলার নাউতারা ইউনিয়ন পরিষদে এই 'কর্মসৃজন কর্মসূচি'র কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কর্মসূচির কাজের তালিকায় জায়গা পেয়েছে ইউপি সদস্যদের ভগ্নিপতি, ভাইয়ের বউ, সন্তান। কিন্তু ইউপি সদস্যদের কাছের আত্মীয় হওয়ায় কোনো প্রকার কর্ম করতে হয় না তাদের। এমন কি হাজিরা ছাড়াই সুবিধাভোগী হিসেবে নিয়মিত সরকারের টাকা তোলেন তারা। সরেজমিন গিয়ে এর সত্যতা মেলে। নাউতারা ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের আনোয়ারের বাড়ি হতে ভাটিয়াপাড়া পর্যন্ত কর্মসৃজন কর্মসূচির কাজ চলমান। কর্মসূচির ১৯১ নম্বর কার্ডের সুবিধাভোগী ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জাফর উদ্দিনের ছেলে শামীম ইসলাম। ১৩২ নম্বর কার্ডের সুবিধাভোগী নার্গিস বেগম ওই ইউপি সদস্য জাফর উদ্দিনের ভাইয়ের বউ। অন্যদিকে ১৫৪ নম্বর কার্ডের সুবিধাভোগী আব্দুল খবির ৪, ৫, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য লাকী বেগমের ননদের স্বামী। নাউতারা ইউপি সদস্য জাফর উদ্দিনের ছেলে শামীম ইসলাম। ইউপি সদস্য জাফর উদ্দিন বলেন, 'আমার ছেলে অতিদরিদ্র হওয়ায় সে প্রকল্পের সুবিধাভোগী।' নাউতারা ইউপি চেয়ারম্যান আশিক ইমতিয়াজ মোর্শেদ মনি বলেন, ইউপি সদস্যদের সন্তান বা আত্মীয়স্বজন অতিদরিদ্র হলে তারা এই কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগ করতেই পারেন। তবে কোনো অনিয়ম থাকলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' ডিমলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান বলেন, 'বিষয়টি আমার জানা নেই, এমন কি কেউ অভিযোগ করেনি। ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'