নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে একজনের মৃতু্য হয়েছে। আহত হয়েছে ২০-২৫ জন। এদিকে, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে হিটস্ট্রোকে এক কৃষকের এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বালতির পানিতে পড়ে শিশুর মৃতু্য হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে একজনের মৃতু্য হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ২০-২৫ জন।
গত শনিবার সন্ধ্যার আগে কান্দিউড়া ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে পতিত জমিতে শিশু-কিশোরদের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে এ মর্মান্তিক মৃতু্যর ঘটনা ঘটে। বিষ্ণুপুর গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, কাইয়ুম মিয়া (৫৫) গুরুতর আহত হলে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নেওয়ার পথে মৃতু্যর কোলে ঢলে পড়েন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর ধরে দুবা গ্রম্নপের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা চলে আসছিল। যা এমন ভয়ংকর রূপ লাভ করে। মৃতু্যর পাশাপাশি উভয় পক্ষের প্রায় ২০-২৫ জনের মতো জখম হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাজু তালুকদার বলেন, লতিফ মেম্বার (সাবেক) ও ঝান্টু/শহীদুলস্নাহ গ্রম্নপের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনামুল হক জানান, এলাকায় শান্তি নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে। মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে হিটস্ট্রোকে এক কৃষকের মৃতু্য হয়েছে। উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের চকনাককাটি গ্রামের মৃত কামিনী কান্ত রায়ের ছেলে মহেন্দ্র নাথ বর্মণ (৮৫) একজন কৃষক। তিনি শনিবার সকালে তীব্র গরমে ক্ষেতে ধান কাটতে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পরিবারের লোকজন তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে হিটস্ট্রোক করায় চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন বিকালে তিনি মারা যান।
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে খেলতে গিয়ে বালতির পানিতে পড়ে সামিয়া খাতুন (৩) নামের এক শিশু মারা গেছে। সে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামের সুজন মিয়ার মেয়ে। গত শনিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, সামিয়া খেলার সময় সবার অজান্তে বাড়ির উঠানে রাখা পানিভর্তি বালতির মধ্যে পড়ে যায়। এরপর তাকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মৃতু্যর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।