নীলফামারীর সৈয়দপুরে বর্তমানে পুরোদমে চলছে বোরো ধান কাটা-মাড়াই। তাই, ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক, মজুর ও ধান মাড়াই মেসিনের শ্রমিকরা। উৎপাদন ভালো হলেও খরচ বেশি হওয়ায় এবার বোরো ধান আবাদ করে পোষাতে পারবেন না বলে ভুক্তভোগী কয়েকজন কৃষক ও জমির মালিক জানান।
লক্ষ্য করা গেছে, ধান কাটা-মাড়াই করার খরচ জোগাতে অনেক কৃষক তাদের ধান কাটা-মাড়াই শেষ হতেই সেখানে কাঁচা ধানই বিক্রি করে দিচ্ছেন। ধান কিনতে আসা কয়েকজন পাইকার জানান, কাঁচা ব্রি-২৮ ও ২৯ ধান কিনছেন ৮০ কেজির বস্তাপ্রতি ১৭শ' থেকে ১৮শ' টাকা করে। অন্য হাইব্রিড কাঁচা ধানের দাম আরও অনেক কম।
অনেক জমির মালিকরাও অভিযোগ করে জানান, বীজ, সার, সেচের খরচ দিয়ে উৎপাদন খরচ তেমন একটা উঠবে না। তবে, এবারে উৎপাদন ভালো হওয়ায় যারা অবস্থাপন্ন কৃষক তারা লাভবান হবেন বলে এলাকার সচেতন মহল মত পোষণ করেছেন।
কথা হলে সৈয়দপুর উপজেলার অতি. কৃষি অফিসার শারমিন আকতার জানান, এবারে সৈয়দপুর উপজেলায় ৭ হাজার ৭১৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৩ হাজার ৫৬০ মে.টন ধান। তবে, এখন পর্যন্ত কাটা-মাড়াই চলছে তাই, মোট কত উৎপাদন হয়েছে তা কাটা-মাড়াই শেষ হলে জানা যাবে বলে জানান অতিরিক্ত কৃষি অফিসার শারমিন আকতার।