সাতকানিয়ায় কাঠের ব্রিজ ভেঙে খালে ইজিবাইক, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশ | ২৭ মে ২০২৪, ০০:০০

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কাঠের ব্রিজ ভেঙে খালে পড়ে যায় মালামাল বোঝাই একটি ইজিবাইক -যাযাদি
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কাঠের ব্রিজ ভেঙে কনফেকশনারি মালামাল বোঝায় একটি ইজিবাইক খালে পড়ে গেছে। মূল ব্রিজের সংস্কার কাজ চলমান থাকায় যানবাহন চলাচলের বিকল্প মাধ্যম হিসেবে কাঠের ব্রিজটি তৈরি করা হয়েছিল। রোববার সকাল ৭টায় উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নের বাজালিয়া-শীলঘাটা সড়কের বৈতরণী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ইজিবাইকের চালক রাজিব ওরফে ভুট্টো (২৫) আহত হয়েছেন। আহত ভুট্টো উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাসিমপাড়া এলাকার জাফর আহমদের ছেলে। কাঠের ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় ওই এলাকার সঙ্গে সাতকানিয়া উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে সব ধরনের যান চলাচল। খালে পানি কম থাকায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপারা হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পুরানগড় হতে শীলঘাটার দিকে কনফেকশনারি মালামাল বোঝাই একটি ইজিবাইক যাচ্ছিল। ইজিবাইকটি সেতুর মাঝখানে পৌঁছালে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। এতে ইজিবাইকটি ড্রাইভারসহ খালের পানিতে পড়ে যায়। সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মো. মহিউদ্দিন জানান, কাঠের ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। সংস্কার তো দূরের কথা তদারকিও ঠিক মতো করা হয়নি। টিকাদার মূল ব্রিজের কাজ করছেন খুবই ধীরগতিতে। ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। স্থানীয় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম জানান, মূল ব্রিজটির সংস্কার কাজ চলমান থাকায় সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে কাঠের বেইলি ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে ঠিকাদার ঢিলেঢালাভাবে কোনোরকম কাঠের ব্রিজটি নির্মাণ করে দায় সেরেছেন। বিকল্প ব্রিজটি নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলেও তিনি সেটির সঠিক ব্যবহার করেননি। এছাড়াও প্রায় সময় দেখা যায় শুধুমাত্র ৩-৪ শ্রমিক ব্রিজ নির্মাণ কাজে নিয়োজিত থাকেন। এভাবে চলতে থাকলে আগামী বর্ষা মৌসুমে চলাচলে স্থানীয়রা দুর্ভোগে পড়বেন। এ বিষয়ে ব্রিজ নির্মাণ কাজের ঠিকাদার দিদারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দুর্ভাগ্যবশত কাঠের বেইলি ব্রিজটি ভেঙে একটি ইজিবাইক খালে পড়ে গেছে, সে খবর তিনি পেয়েছেন। শ্রমিকরা কাঠের ব্রিজটি সংস্কারে কাজ করে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে কাজের ধীরগতি সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, কাজের গতিতে কাজে এগিয়ে যাচ্ছে। এখানে অতিরিক্ত মানুষের কোনো কাজ নেই। উলেস্নখ্য, গত বছরের আগস্ট মাসে সাতকানিয়া উপজেলার ভয়াবহ বন্যায় পাহাড়ি ঢলে সেতুটির দক্ষিণ প্রান্তের পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বিগত প্রায় চার মাস আগে সেতুটির সংস্কার কাজ শুরু হয়। বিকল্প চলাচলের মাধ্যম হিসেবে তৈরি করা কাঠের ব্রিজটি সাময়িক মেরামতের পাশাপাশি মূল সেতুর কাজ বর্ষা মৌসুমের আগে শেষ করার দাবি এলাকাবাসীর।