গাইবান্ধায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা প্রেস ক্লাবে প্রতিবাদ সভা

প্রকাশ | ২৫ মে ২০২৪, ০০:০০

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার কামারজানী বন্দরে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি সংক্রান্তে সংবাদ প্রকাশের জেরে গাইবান্ধায় তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সদর থানায় চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে, গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলন করে আসছিল ওই এলাকার বালু খেকো নামে পরিচিত বালু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর, রানা, সাইফুল, মিল্টনসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আনন্দ টিভিসহ বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত ২৫ ফেব্রম্নয়ারি কামারজানী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা খন্দকার আজিজুর রহমান বাদী হয়ে বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পরও আসামিরা বালু উত্তোলন ও ব্যবসা চালিয়ে গেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদ আল হাসান একাধিকবার অভিযান চালিয়ে বালু পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত অন্তত ২০টি গাড়ি জব্দ করেন ও প্রায় ১৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন। এতে বালু ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হলে তাদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম সংবাদ প্রকাশের প্রায় দেড় মাস পর চলতি বছরের ২৮ মার্চ গাইবান্ধা সদর থানায় মিথ্যা চাঁদাবাজির একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর প্রায় এক মাস পর গত ২৪ এপ্রিল সদর থানায় মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করা হয়। এই মামলায় গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও আনন্দ টিভি জেলা প্রতিনিধি মিলন খন্দকার, ডেইলি ট্রাইবু্যনালের জেলা প্রতিনিধি মো. সুমন মিয়া ও নাগরিক ভাবনা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি রিয়ন ইসলাম রকিকে আসামি করা হয়। মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের হওয়ায় গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবের সভাপতি দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শফিউল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) জেলা সংবাদদাতা সরকার মো. শহিদুজ্জামান, শামীম উল হক শাহীন, নেয়ামুল আহসান পামেল, বাংলাভিশন টেলিভিশনের ফিরোজ কবীর মিলন, নাগরিক টিভির আনোয়ার হোসেন শামীম, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি রওশন হাবীব, এশিয়ান টিভির সুমন মন্ডলসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা থেকে তিন সাংবাদিককে অব্যাহতি প্রদানের দাবি জানান এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এসব অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা হোক।