কৃষ্ণচূড়ার শোভায় সেজেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

৪৩ কিলোমিটার জুড়ে বিভিন্ন ফুলের সমারোহ

প্রকাশ | ২৫ মে ২০২৪, ০০:০০

চৌদ্দগ্রাম (কুমিলস্না) প্রতিনিধি
লাল টুকটুকে কৃষ্ণচূড়া ফুলের শোভায় নবরূপে সেজেছে দেশের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম অংশ। মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম অংশের ৪৩ কিলোমিটার সড়কের ডিভাইডারের অধিকাংশেই কৃষ্ণচূড়া, সোনালু, জারুলসহ বিভিন্ন ফুলের সমারোহ প্রকৃতিতে এনেছে নতুন সাজ। চারদিকে সবুজের বুক চিরে রক্তিম লাল আভা জানান দিচ্ছে প্রকৃতির নয়নাভিরাম রূপের। এ অংশে প্রকৃতি যেন সেজেছে কৃষ্ণচূড়া আর সোনালুর রঙে। পরিবেশে ফিরেছে নতুন সৌন্দর্য। প্রকৃতির এ সৌন্দর্য নজর কেড়েছে মহাসড়কের বিভিন্ন যানবাহনে চলাচল করা যাত্রীদের। যাত্রীদের অনেকেই এ দৃশ্য ছবি তুলে কিংবা ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছেন। বিশেষ করে গ্রীষ্মের তাপদাহে প্রখর রোদের মাঝে মহাসড়কের ডিভাইডারের কৃষ্ণচূড়াসহ এসব ফুল এবং গাছ ছায়া দিয়ে যাচ্ছে হাজারো যাত্রীদের। ঢাকা-চট্টগ্রামগামী কিংবা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের মাঝে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে এসব বাহারি ফুল। এ দৃশ্য পুরো বাংলাদেশের মধ্যে চৌদ্দগ্রামের অবস্থানকে করেছে অতুলনীয়। স্থানীয়রাসহ অনেকেই সড়কের পাশের কৃষ্ণচূড়া তলায় আসেন ছবি তুলতে। আবার অনেককে দেখা যায় বিশ্রাম নিতে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা দিনমুজুরদের প্রতিনিয়ত দেখা যায় সড়কের পাশের কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বসে একটু শীতল হাওয়া উপভোগ করতে। তীব্র গরমে তারা প্রশান্তি খুঁজেন কৃষ্ণচূড়ার তলায়। প্রখ্যাত পরিবেশ ও সমাজকর্মী ইমাম হোসাইন জানান, মহাসড়কের দু'পাশের মাঝখানের কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য নজর কেড়েছে লাখো মানুষের। এ সৌন্দর্য চৌদ্দগ্রাম উপজেলার অবস্থানকে তুলে ধরেছে পুরো দেশে। এ সময় তিনি আরও বলেন, মহাসড়কের ডিভাইডারে যারা নিজ উদ্যোগে ছোট ছোট বৃক্ষরোপণ করে কিংবা শীতকালে সবজির আবাদ করে তাদেরকে রাষ্ট্রিয়ভাবে সহযোগিতা কিংবা অনুপ্রাণিত করা প্রয়োজন। এতে করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পুরো অংশে ফুলে ফলে সুরভিত হয়ে উঠবে। সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মসংস্থান, খাদ্য ঘাটতি পূরণেও তা কাজে দিবে। এ সৌন্দর্য যাতে অব্যাহত থাকে এজন্য তিনি রোডস্‌ এন্ড হাইওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারির দাবিও জানান। একে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশকর্মী আব্দুল কাইয়ুম মানিক জানান, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি বাহারি ফুলের সৌন্দর্য ভ্রমণকারীদের মুগ্ধ করে। জারুল ফুল বাংলার চেরি ফুল হিসেবে বিবেচিত হয়। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডিভাইডারে ফুলগাছগুলোর সৌন্দর্যে ভ্রমণকারীরা বিমোহিত। চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ফেলনা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাস্টার আব্দুল মান্নান জানান, মহাসড়কের দুই অংশের ডিভাইডারে কৃষ্ণচূড়া, সোনালু, কাঞ্চন, করবিসহ নানাবিধ ফুলগাছের সমারোহ এক অপরূপ দৃশ্যের অবতারণা করেছে। এসব ফুলগাছ শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধিই নয় রাতে বিপরীতমুখী চলমান বাসের হেডলাইটের আলো নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে। চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি ত্রিনাথ সাহা বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় মহাসড়কের ডিভাইডারে স্থাপিত এসব ফুলগাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের বাহারি ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।