শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১

নিষিদ্ধ জালে ধ্বংস হচ্ছে পদ্মা-মেঘনার রেণু পোনা

চাঁদপুর প্রতিনিধি
  ২৫ মে ২০২৪, ০০:০০
নিষিদ্ধ জালে ধ্বংস হচ্ছে পদ্মা-মেঘনার রেণু পোনা

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার পদ্মা ও মেঘনা নদীর সীমানা। এসব এলাকায় প্রায় ৪৪ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছে।

মৎস্য বিভাগ থেকে জেলেদেরকে বিভিন্নভাবে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার না করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হলেও তারা তা মানছেন না। যে কারণে ছোট ফাঁদের নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছের রেণু পোনা।

সম্প্র্রতি সময়ে নদী উপকূলীয় এলাকা ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে ছোট মাছ (রেণু পোনা) ধরার চিত্র। এসব রেণু পোনা ধরে বর্তমানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে বাজার ও পাড়া মহলস্নায়।

জানা যায়, মতলব উত্তর, সদরের বিভিন্ন এলাকাসহ বিশেষ করে হাইমচর উপজেলার উপকূলীয় এলাকার জেলেরা নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, চরঘেরা জাল, চায়না দোয়াইর চাঁই, পাঙ্গাস ধরার বড় সাইজের চাঁই, চিংড়ি পোনা নিধনকারী পুশ নেট, বাঁধা জাল ও গচি জাল ব্যবহার করে ছোট মাছ ও রেণু পোনা ধরার কাজে ব্যবহার করে।

চলতি বছরের ফেব্রম্নয়ারি মাসে মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ড চাঁদপুর যৌথ অভিযান করে মুন্সিগঞ্জ থেকে হিজলা পাচারের সময় ৬৫ লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করে। এছাড়া জাটকা সংরক্ষণ অভিযানের দুই মাস ও মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের অভিযান ছাড়া নিষিদ্ধ জাল বছর জুড়ে জব্দ হচ্ছে।

সম্প্র্রতি এক অভিযানে মতলব উত্তর ও হাইমচর উপজেলা মৎস্য বিভাগ গত ১৭ মে ছোট প্রজাতির মাছ ধ্বংসকারী নিষিদ্ধ ৪০ হাজার মিটার চরঘেরা জাল, ২০টি চায়না দোয়াইর চাঁই ও ৫টি চিংড়ি পোনা নিধনকারী পুশ জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইউসুফ জুবায়ের শিমুল জানান, 'আমাদের চরভৈরবী আড়তে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে নিধনকৃত মাছের পোনা বিক্রির বিষয় জানতে পেরেছি। আমি জেলেদেরকে মাছের পোনা ধরা ও বিক্রি না করার জন্য নিষেধ করেছি।'

হাইমচর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ বলেন, নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছের পোনা ধরার সংবাদ পেয়ে নদীতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। ইতোমধ্যে বেশ কিছু গচি জাল উদ্ধার করে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। নদীতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা রক্ষায় আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম বলেন, 'নিষিদ্ধ জালে মাছ ধরা বছর জুড়েই নিষিদ্ধ। মৎস্য বিভাগ কখনই এসব জালের অনুমোদন দেয় না। জেলেরা যাতে করে সুতার জাল ব্যবহার করে সে জন্য উৎসাহ দিতে বিনামূল্যে জালও দেওয়া হচ্ছে। তারপরেও এক শ্রেণির জেলে নদীতে নেমে ছোট পোনা মাছ ধরছে। নদীর মৎস্য সম্পদ রক্ষায় জেলা জুড়ে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে