অসুস্থ স্ত্রীকে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে পালালেন স্বামী

প্রকাশ | ২৪ মে ২০২৪, ০০:০০

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুরে অসুস্থ স্ত্রীকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে স্ত্রীর মৃতু্য হয়েছে ভেবে লাশ রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। গত বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের বিলহরিবাড়ী গ্রামে। নিহত গৃহবধূ সুমি খাতুন (২০) সিংড়া উপজেলার নুরপুর গ্রামের মো. শফিক প্রামাণিকের মেয়ে। এ ঘটনায় শফিক প্রামাণিক বাদীয় হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করলে শাশুড়ি শাহিদা বেগমকে (৪৬) আটক করে পুলিশ। গৃহবধূর বাবা শফিক জানান, আনুমানিক এক বছর আগে বিলহরিবাড়ী গ্রামের বদি সরকারের ছেলে আবু সাঈদের সঙ্গে তার মেয়ে সুমির বিয়ে দিয়েছিলেন। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত তার স্বামী ও শাশুড়ি বাড়ির লোকজন। প্রায় ১৫ দিন আগে জমিতে পানি সেচ দেওয়াকে কেন্দ্র করে শাশুড়ি শাহিদা গৃহবধূ সুমিকে মারধর করেন এবং গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে মরে যেতে বলেন। প্রতিদিন এমন মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত বুধবার বিকালে তার মেয়ে সুমি কীটনাশক পান করে বাড়িতেই অসুস্থ হয়ে পরেন। স্বামী আবু সাঈদ, শ্বশুর বদি সরকার, শাশুড়ি শাহিদা বেগমসহ পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নেওয়ার নাটক করেন। বাড়ি থেকে হাসপাতালে যাওয়ার পথে সাবগাড়ী এলাকায় সুমির মৃতু্য হয়েছে ভেবে সেখানে লাশ রেখে তারা পালিয়ে যান। পরবর্তীতে স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পারলে সুমির বাবার বাড়িতে খবর দেয়। বাবার বাড়ির লোকজন এসে তাকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপেস্নক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেলে রেফার করেন। পরবর্তীতে রাজশাহী যাওয়ার পথে সুমি মৃতু্যবরণ করেন। এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ওসি উজ্জ্বল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। মামলায় গৃহবধূর শাশুড়ি শাহিদা বেগমকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।